‘ইভিএমের ত্রুটি ধরিয়ে দিলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার’, গুজব বলছেন সিইসি

| আপডেট :  ২৪ মে ২০২২, ০২:২৮  | প্রকাশিত :  ২৪ মে ২০২২, ০২:২৮

‘ইভিএমের ত্রুটি ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণার’- বিষয়ে দেওয়া বক্তব্য ‘গুজব’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে কমিশনের এক কমিশনারের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কোথাও কোট করতে গিয়ে এটা হয়তো মিস হয়েছে, আবেগের বশে স্মৃতিভ্রম থেকে এটা হতে পারে।’

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের নিজ দপ্তরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, তিনি (সিইসি) কোথাও এধরনের কোনও বক্তব্য দেননি। গত তিন মাসে তিনি ‘দশ’, ‘মিলিয়ন’ ও ‘ডলার’ এ তিনটি শব্দ মুখেই উচ্চারণ করেননি। তার কোনও কমিশনার, এমনকি কমিশনের কোনও কর্মচারীও এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান মাদারীপুরে গিয়ে বলেন, ‘ইভিএমে ত্রুটি ধরতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন সিইসি’। বিষয়টি নিয়ে দল ও নানা মহলে সমালোচনার মধ্যে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সিইসি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। সিইসি ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছেন- এটা উদ্ভট কথা। সিইসি এ ধরনের উদ্ভট কথা বলতেই পারেন না। তবে কিছুদিন আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ইভিএম সংশ্লিষ্টদের কেউ না কেউ এ ধরনের কথা বলে থাকতে পারেন।’

নির্বাচন কমিশনার আনিছুরের বক্তব্যের বিষয়টি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি তার পক্ষ নিয়েই বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য শোনার পর ইন্টারনাল তদন্ত শুরু করলাম। কেউ তার ভালোবাসা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারেন, ইভিএম যারা তৈরি করছেন তাদের মধ্যে কেউ হয়তো বলেছেন। ওইভাবে কেউ একজন বলেছেন, ওখান থেকে জিনিসটা এসেছে।’

নির্বাচন কমিশনার ‘কিছুটা স্মৃতিভ্রম হয়ে’ এ কথা বলে থাকতে পারেন বলেও মন্তব্য সিইসি। তিনি বলেন, ‘এটা কমিশনের বক্তব্য নয়। কোনোভাবে কমিশনের কোনও কর্মচারীও একথা বলেননি, কমিশনার তো দূরের কথা, বলতে পারেন না। (আমরা) মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি। কমিশনকে অপদস্ত করার জন্যে, সিইসিকে অপদস্ত করার জন্যে তিনি এটা বলেননি। কথাটা আসলে কিছুটা স্মৃতিভ্রমভাবে হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তবে নির্বাচন কমিশনারদের কথা বলার ক্ষেত্রে আরও ‘সতর্ক অবস্থান নেওয়া উচিত’, ‘দায়িত্বশীল হওয়া উচিত’ মন্তব্য করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এর মাধ্যমে ইসির অবস্থান অবনমিত হয়েছে। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে এতে। ইসির প্রতি মানুষ আস্থা আনতে চায়। শুরুতে যদি বিনষ্ট হয়ে যায়, তাহলে কমিশন আগামী যে জনপ্রত্যাশিত নির্বাচন করতে চায়, তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।’

এসময় নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানসহ অন্য তিন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত