ইসরায়েলি হামলায় হামাস কমান্ডারসহ ৯ জন নিহত

| আপডেট :  ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১৭  | প্রকাশিত :  ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১৭


ইসরায়েলি হামলায় হামাস কমান্ডারসহ ৯ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে একজন হামাস কমান্ডারসহ কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন।

৪ আগস্ট, রবিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গিয়েছে ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার কয়েক ঘণ্টা পর শনিবার (৩ আগস্ট) গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, পশ্চিম তীরে দুটি বিমান হামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে বিমান হামলার প্রথমটি তুলকারম শহরের কাছে একটি শহরের গাড়িতে আঘাত হানে। তাদের দাবি, সশস্ত্র যোদ্ধাদের সেলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। তারা আক্রমণ চালানোর উদ্দেশে যাচ্ছিল বলেও দাবি ইসরায়েলের।

হামাসের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুলকারম ব্রিগেডের কমান্ডার এই হামলায় নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ দাবি করেছে, হামলায় মারা যাওয়া বাকি চারজন তাদের যোদ্ধা ছিল।

এর কয়েক ঘণ্টা পরে ওই এলাকায় দ্বিতীয় বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা বলেছে, ওই হামলায় চারজন নিহত হয়েছে এবং হামাস বলেছে, পশ্চিম তীরে দুটি ইসরায়েলি হামলায় নয়জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের আগে থেকেই পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং ভূখণ্ডটিতে ঘন ঘন ইসরায়েলি অভিযানও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এই ভূখণ্ডটি ফিলিস্তিনিদের কাছে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ।

ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে সর্বশেষ হামলার ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইরান এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সাথে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আর এটি মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে।

ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইতালি এবং মিসরসহ যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা আরও আঞ্চলিক উত্তেজনা রোধ করতে শনিবারও (৩ আগস্ট) তাদের কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিল।

এর আগে মধ্য গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় অবস্থিত হামামা স্কুলে হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

হামাস বলেছে, তারা তেহরানে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার তিন দিন পর তাদের নতুন নেতা নির্বাচনের ‘বিস্তৃত পরামর্শ প্রক্রিয়া’ শুরু করেছে। মূলত হানিয়া ছিলেন হামাসের আন্তর্জাতিক কূটনীতির মুখ। ইরান ও হামাস তার হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

অবশ্য ইসরায়েল এই হামলার দায় স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি।

বিবার্তা/রিন্টু/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত