খাগড়াছড়ির বটতলীতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সেনাবাহিনী খাবার বিতরণ

| আপডেট :  ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫৯  | প্রকাশিত :  ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫৯


খাগড়াছড়ির বটতলীতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সেনাবাহিনী খাবার বিতরণ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি


খাগড়াছড়িতে বন্যার্তদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে মানবিক সেবা নিয়ে কাজ করছে খাগড়াছড়ি সদর সেনা জোন। ক্ষতিগ্রস্থদের শুকনো খাবার থেকে শুরু করে রান্না করা খাবার বিতরণ অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী।

২৩ আগস্ট, শুক্রবার বিকেলে বটতলী এলাকায় স্কুল প্রাঙ্গনসহ কয়েকটি এলাকায় ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার তুলে দেন খাগড়াছড়ি সদর জোন (৩০ বীর) এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবুল হাসনাত জুয়েল পিএসসি। এতে জোন (৩০ বীর) এর উপ অধিনায়ক মেজর মো. সিদ্দিকুল ইসলাম পিএসসি, ক্যাপ্টেন সিয়াম এ নূর একিউএম, এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন ইজাজ আহমেদ সাজিনসহ সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি সদর জোন (৩০ বীর) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আবুল হাসনাত জুয়েল এতে বলেন, সকলে আমরা একে অপরের। সকল জনগোষ্ঠীর কল্যাণে আত্মমানবতার কল্যাণ কাজ করে যেতে চাই। এ দুর্যোগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে। এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

স্থানীয়দের খাওয়া, থাকা, চিকিৎসা বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি সব ধরনের সমস্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন জোন কমান্ডার। এর আগে বন্যায় উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় সহায়তাসহ দুস্থদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বিভিন্ন এলাকায় দিশেহারা পাহাড়ি-বাঙালি বন্যার্তদের খাগড়াছড়ি সদর জোনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের মধ্যে প্রতি প্যাকেটে রয়েছে, চাল, ডাল, লবণ, তেল, খাবার স্যালাইন, মুড়ি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার তৎপরতা,রান্না করা খাবার বিতরণ, শুকনো খাবার তুলে দেয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।

টানা ভারী বৃষ্টি ও উজানের পানিতে সৃষ্ট বিপর্যস্ত পাহাড়ি-বাঙালিসহ সকল সম্প্রদায়ের পাশে থেকে মাঠে কাজ করতে মাঠে তৎপরতা দেখা যায় সেনাবাহিনীর। গত কয়েক দিনে দুই হাজার বন্যা দুর্গত মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে দিন এবং রাতে খাবার তুলে দেয়াসহ প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে প্যাকেট করা শুকনো খাবার তুলে দেয়া হয়।

বিবার্তা/আল-মামুন/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত