গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ২৮ হাজার ছুঁই ছুঁই

| আপডেট :  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫২  | প্রকাশিত :  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫২


গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ২৮ হাজার ছুঁই ছুঁই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এই উপত্যকার কোথাও এখন নিরাপদ নয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ২৭ হাজার ৯৪৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৭ হাজার ৪৫৯ জন।

১০ ফেব্রুয়ারি, শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাফায় হামলা চলছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৭ হাজার ৯৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৬৭ হাজার ৪৫৯ জন।

সামরিক বাহিনীকে রাফাহ থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেয়া এবং হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত প্রশ্ন করেছেন যে, পরিকল্পিত হামলার মধ্যে বেসামরিকদের কোথায় সরিয়ে নেয়া হবে? কারণ গাজায় এখন আশ্রয় নেয়ার মতো নিরাপদ কোনো স্থান আর নেই।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকই এখন রাফাহ শহরে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু সেথানে কোনো বাড়ি-ঘর নেই, আশ্রয় নেয়ার মতো কোনো জায়গাও নেই।

খান ইউনিসে ইসরায়েলি স্নাইপাররা নাসের হাসপাতালের বাইরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে চিকিৎসাকর্মীও রয়েছেন। গাজায় ২৪ ঘন্টায় ১০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১৪২ জন আহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর মধ্যপ্রাচ্যে আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে যখন গাজা উপত্যকা-ভিত্তিক কট্টরপন্থী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলি ভূখণ্ডে আকস্মিকভাবে আক্রমণ শুরু করে। গাজা সীমান্তের কাছে বসবাসকারী অনেক ইসরায়েলি কিবুতজ বাসিন্দাকে হত্যা করে এবং শিশু, বৃদ্ধ এবং মহিলাসহ ২৪০ জনেরও বেশি ইসরাইলিকে বন্দি করে।

জেরুসালেমের ওল্ড সিটির টেম্পল মাউন্টে আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হামাস হামলা চালায় বলে দাবি করে।

এর পরই ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করে ও ছিটমহল, লেবানন ও সিরিয়ার কিছু এলাকায় বোমাবর্ষণ শুরু করে। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালায়। পশ্চিম তীরেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আর কয়েক মাসের মধ্যেই গাজায় সম্পূর্ণ বিজয় সম্ভব হবে।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ছেড়ে দেয়া হবে। বিনিময়ে অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিতে হবে এবং বন্দি ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে গত সপ্তাহে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটির জবাবেই এসব শর্ত দিয়েছে হামাস। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর গত পাঁচ মাসের মধ্যে সংঘাত বন্ধে এটিই সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত