গুরুতর দগ্ধ ২ জনকে ঢাকা প্রেরণ, তদন্ত কমিটি গঠন

| আপডেট :  ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪১  | প্রকাশিত :  ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪১


গুরুতর দগ্ধ ২ জনকে ঢাকা প্রেরণ, তদন্ত কমিটি গঠন

সারাদেশ

সিলেট প্রতিনিধি


সিলেট মহানগরীর পাঠানটুলার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে গুরুতর দুইজনকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা হলেন মতিউর রহমান (৬৫) ও মো. মনতাজ মিয়া (৩৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ মান্নান। তিনি জানান, বেলা আড়াইটার দিকের তাদেরকে নিয়ে সিলেট থেকে রওয়ানা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, অগ্নিদগ্ধ ৫ জনের মধ্যে ২ জনের শরীরের ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে। বাকি দুইজনের ৩০ ভাগ আর একজনের ২৮ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে মুখমণ্ডল ও কণ্ঠনালি। যা বিপজ্জনক। যে কারণে, অবস্থা খারাপ হওয়ার আগেই তাদেরকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

এর আগে, রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পাঠানটুলার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার অনুসন্ধানে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়ম এন্ড মাইনিং ডিপামেন্টের প্রফেসর ড. ফরহাদ মোহাম্মদ হাওলাদার, জালাবাদ গ্যাস লিমিটেডের জিএম (অপারেশন) ইঞ্জিনিয়ার সারওয়ার জাহান মাহমুদ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটি যতদ্রুত সম্ভব তারা তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের শ্রমিকরা। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এক শ্রমিক পাম্পের রিফুয়েলিং মেশিনের কাছেই গ্রাইন্ডিং মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এসময় ছুটন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে সেখানে আগুন ধরে যায়।

অগ্নিকাণ্ডের পর সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে খবর দেওয়া হলেও ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে যাবার আগেই সিএনজি পাম্পের কর্মচারীরা স্টেশনটিতে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত সিসিকের ৫ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। এ পাঁচজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অগ্নিদগ্ধরা হলেন- ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মো. মনতাজ মিয়া (৩৫), একই এলাকার মঙ্গল মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৫), মতি মিয়ার ছেলে মো. আলম মিয়া (২৩), মিছির আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬৫), রজনি চন্দ্র দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৫৫)।

বিবার্তা/ফয়সাল/সউদ

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত