গেণ্ডারিয়া কিশলয় কঁচিকাচার মেলার উদ্যোগে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত
জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের আলাপে উত্তাল সারা দেশ। বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা–সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার বিকালে গেণ্ডারিয়া কিশলয় কঁচিকাচার মেলার উদ্যোগে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। ৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিকালে গেণ্ডারিয়া কিশলয় কঁচিকাচার মেলা প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন কচিকাঁচার মেলার বিভিন্ন বিভাগের ক্ষুদে শিক্ষার্থীগণ, মেলার সহ-সভাপতি আবু তাহের বকুল, সাধারণ সম্পাদক নুসরাত ইয়াসমিন রুম্পা, যুগ্ম সম্পাদক এহতেশাম খান সিদ্দিকী হিমেল, ললিতকলার অধ্যক্ষ গোলাম জিলানী, ললিতকলার সিনিয়র শিক্ষক আশীষ কুমার শীল, হুমায়রা হামিদ হুমা, ললিতকলার তবলা শিক্ষক মোক্তাদিরু রহমান শিফা, দিলীপ কুমার মৃধা, প্রশিক্ষক নাফিসা আলম হিয়া, আবৃত্তি শিক্ষক অপরাজিতা রিপা, প্রশিক্ষক নুসরাত জাহান আফরিন, শিক্ষক জুবাইদা হোসেন নেহা, প্রশিক্ষক আশরাফুল হোসেন, তবলা শিক্ষক অয়ন সরকারসহ অভিভাবকবৃন্দ। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত কর্মসূচি বিষয়ে কচিকাঁচার মেলার সহ-সভাপতি আবু তাহের বকুল বলেন, গেণ্ডারিয়া কিশলয় কঁচিকাচার মেলা আমাদের প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালে আমরা এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত আমাদের দেশ ও দেশের মানুষ। বাঙালির চিরাচরিত যে বিষয়গুলোর জন্য আগের প্রজন্ম সংগ্রাম করে গেছেন, আমরা সেগুলোকে ধারণ করি। এই বিষয়গুলো লালন ও ধারণ করার জন্যই আমরা শিশুদের সন্নিবেশিত করি। যাতে শিশুদের মধ্যে এই চেতনাটা জাগ্রত থাকে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে স্বাধীনতার অস্তিত্বের পরিপন্থী উল্লেখ করে পরিবর্তনের দাবি জানান জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আযমী। এ সময় তিনি সংবিধানের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এর প্রতিবাদে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গাওয়ার কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় গেণ্ডারিয়া কিশলয় কঁচিকাচার মেলা। বিবার্তা/এসবি/রোমেল/এমজে
গেণ্ডারিয়া কিশলয় কঁচিকাচার মেলার উদ্যোগে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত
সারাদেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত