চুয়াডাঙ্গায় তীব্র ঠান্ডা আর কুয়াশায় বোরো বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় চাষি
তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন বোরো ধানের বীজতলা যত্ন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চুয়াডাঙ্গার চাষীরা। কিন্তু ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে চারার ক্ষতির শঙ্কা রয়েই গেছে চাষিদের মনে। জেলা কৃষি অফিস সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ১ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। আর ৩৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চারা হলুদ রঙের হয়ে যাচ্ছে। এতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। দুশ্চিন্তা দেখা গেছে কৃষকদের মধ্যেও। তীব্র ঠান্ডা আর কুয়াশার মধ্যে কৃষকদের বীজতলা যেন ভালো থাকে সেই ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার বোরো বীজতলা তৈরিতে খরচ অনেক বেশি। তাই বীজতলায় ক্ষতি হয়ে গেলে চারা রোপণের সময় অনেকটা দুর্ভোগে পড়বো। বীজতলায় ক্ষতি এড়াতে চারার যত্ন পরিচর্যা করছি। আব্দুল হাই নামে আরেক চাষি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলায় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাতা হলুদ রঙের হয়ে গেছে । ফলে ধানের যে লক্ষ্যমাত্রা তা উঠবে কি না তা নিয়ে পড়েছি দুশ্চিন্তায় আছি। ধান চাষি আব্দুল লতিফ বলেন, এ মৌসুমে বীজের দাম বেশি তাই বীজতলা তৈরির খরচও বেশি। বীজতলায় কাঙ্ক্ষিত চারা উৎপাদন না হলে বাইরে থেকে চারা আনতে হবে। এতে ধান উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাবে। জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিন বিনতে আজিজ বলেন, প্রতিবারই বীজতলায় কিছুটা ক্ষতি করে কুয়াশা। এবার কৃষকদের বীজতলা ঠিক রাখতে নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চারা ঠিক রাখার জন্য যা যা করণীয় কৃষকরা যদি তা সঠিক ভাবে করে তাহলে চারার কোনো ক্ষতি হবে না। ফলে বোরো ধান উৎপাদনে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। বিবার্তা/আসিম/জবা
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র ঠান্ডা আর কুয়াশায় বোরো বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় চাষি
সারাদেশ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত