দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেটে জড়িত কাউকে ছাড় নয়: র‌্যাব

| আপডেট :  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১২  | প্রকাশিত :  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১২


দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেটে জড়িত কাউকে ছাড় নয়: র‌্যাব

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে, চলমান মজুতদারি বন্ধে ও পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধে মাঠে নেমেছে র‍্যাব।

পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাব বলছে, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে যারা বৃদ্ধিতে কারসাজি করছেন, মজুত করে দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন, তাদের পরিচয় যাই হোক শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও অভিযান পরিচালনার জন্য প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশ দিয়েছে র‍্যাব।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, এলিট ফোর্স র‍্যাব সবসময় এ ধরনের জনসম্পৃক্ত ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে থাকে। আজকে থেকে আমরা সবজিসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ও মজুতদারি বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

কমান্ডার মঈন বলেন, সম্প্রতি একটি চক্র সিন্ডিকেটের মাধ্যমে, নামে-বেনামে চাঁদাবাজদের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে চাঁদাবাজি করছে, চাঁদাবাজির কারণে অনিয়ন্ত্রিত ও অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আমরা আমাদের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশনা হয়েছে, গোয়েন্দা নজরদারি পরিচালনা করার জন্য। যারা নামে বেনামে সিন্ডিকেট করে চাঁদাবাজি করছে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, নিত্যপণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কমান্ডার মঈন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, এই ধরনের মজুতদার ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে যারা কারসাজি করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। সামনে রমজান। রমজানে যাতে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকে সেজন্য র‍্যাবের প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজ মজুতদার ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে যারা কারসাজি করছেন তাদের শনাক্ত করার জন্য।  

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা ইচ্ছাকৃত, কারসাজি করে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন, এখন করছেন তাদের শনাক্ত করে কঠোর ও আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সে যেই হোক, তারা যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও হয়, সিন্ডিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে ছাড় দেওয়া হবে না, কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। নিত্যপণ্যের সরকারি মূল্যের বেশি দামে কেউ যদি পণ্য বিক্রি করেন বা মজুত করে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা করছেন তাদের শনাক্ত করছি। মোবাইল কোর্ট তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত