নিউ ইয়ার কনসার্টে কেঁপেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

| আপডেট :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৬  | প্রকাশিত :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৬


নিউ ইয়ার কনসার্টে কেঁপেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষা

কুবি প্রতিনিধি


‘সে আমারে আমার হতে দেয় না’, ‘কি যে মায়া লাগে আমার নিজের জন্য আহারে’, ‘আসলে সে আমাকে না অন্য কাউকে ভালোবাসতো’, ‘আমি আকাশ পাঠাবো তোমার মনের আকাশে’, ‘তারাবাতি জ্বলে নিভে’, ‘পারবো না আমি তোমায় ছাড়া ঐ নীল আকাশটাকে ভালোবাসতে’, ‘ওহ অহনা একটু ভালোবাসো না’, ‘আমি চলে যাবো গভীর সাগরে’, ‘আমি ছিলাম তোমাদেরই মাঝে’ সহ তুমুল জনপ্রিয় গানে মাতিয়েছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ব্যান্ড পাগল ভক্তদের।

কুবির সেন্ট্রাল ফিল্ডে প্রায় ২০ হাজার ভক্তকে প্রাণের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়ে গেল দেশসেরা চার ব্যান্ড দল।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় লেট’স ভাইব নিউ ইয়ার কনসার্ট ২০২৪ আয়োজিত হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। ব্যান্ডগুলো হলো, ‘বে অফ ব্যাঙ্গল, সোনার বাংলা সার্কাস, এভোয়েড রাফা এবং অ্যাশেজ’। কনসার্টটির আয়োজক হিসেবে ছিল কুবির একমাত্র ব্যান্ডদল প্লাটফর্ম।

শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রতিবর্তনের’ পরিবেশনার মাধ্যমে কনসার্টটি শুরু হয়। তার পরে মঞ্চে উঠে প্লাটফর্ম। প্লাটফর্মের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে দর্শক সমাগম হতে শুরু করে। কুমিল্লা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গীত পাগল তরুণ-তরুণীরা জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে সেন্ট্রাল ফিল্ড থেকে শুরু করে আশেপাশের প্রতিটা স্থান দর্শকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

‘ওহ অহনা একটু ভালোবাসো না’ গানের মধ্য দিয়ে প্লাটফর্ম যখন দর্শককে আক্ষেপের বার্তা দিয়ে মঞ্চ ছাড়ে, পরক্ষণেই সব ধোঁয়াশা কেটে একের পর এক মঞ্চ কাঁপিয়েছে, বে অফ ব্যাঙ্গল, সোনার বাংলা সার্কাস, এভোয়েড রাফা। সর্বশেষ আকর্ষণ ছিল জুনায়েদ ইভানের অ্যাশেজ। ১২টার দিকে মঞ্চে উঠে প্রোগ্রাম শেষ করে ১:২০ এর দিকে। আর জনপ্রিয় সব গান দিয়ে পাগল করে তুলে দর্শকদের।

চাঁদপুর থেকে আসা ইমরান হোসেন বলেন, ‘এখানে এসে ভাবিনি এতো মানুষ হবে। ভেবেছি ছোট ক্যাম্পাস তেমন গ্যাদারিং হবে না। এটা প্রত্যাশারও অনেক বাহিরে ছিল। আমি সহ আমার ৫ জন ফ্রেন্ড মেইনলি ইভান ভাইয়ের গান শোনার জন্য আসছি। হে এখানকার পরিবেশ খুবই ভালো লাগছে। সুন্দর আয়োজন। এককথায় দারুণ লাগছে।’

প্লাটফর্ম ব্যান্ডের ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম সার্বিক বিষয়ে বলেন, ‘আমরা গত তিন মাস চেষ্টায় ছিলাম কীভাবে ক্যাম্পাসে একটি বড়সড় প্রোগ্রাম আয়োজন করা যায়। তারই প্রেক্ষিতে আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করি এবং শেষপর্যন্ত লেট’স ভাইব এগিয়ে আসে। আমরা কোনোরকম ক্রাউড না ছড়ানোর চেষ্টায় ছিলাম। আর এটা মেইনটেইনের জন্যে প্রক্টরিয়াল বডি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, উপাচার্য স্যার আমাদের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন। যার কারণে আমরা সফলভাবে প্রোগ্রামটা শেষ করতে পারছি। এর পাশাপাশি আমাদের ২০০ এর উপরে ভলান্টিয়ার ছিল। সর্বোপরি সবার সহযোগিতার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।’

‘তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময়ই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন-মিশনের পজিটিভ ব্র্যান্ডিংকে প্রায়োরিটি দিয়েছি। আর প্রোগ্রামের সফলতার জন্য আমরা সকল কুবিয়ানকে কৃতিত্ব দিচ্ছি।’

বিবার্তা/প্রসেনজিত/সউদ

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত