প্রতারণার ফাঁদ সম্পর্কে সাবধান করল মাদরাসা অধিদফতর

| আপডেট :  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯  | প্রকাশিত :  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯


প্রতারণার ফাঁদ সম্পর্কে সাবধান করল মাদরাসা অধিদফতর

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


বিভিন্ন মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিকরণ, এমপিওভুক্ত মাদরাসায় বিশেষ বরাদ্দ, উচ্চতর স্কেল প্রদান এবং পদোন্নতির নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে একটি প্রতারক চক্র। মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর এসব প্রতারণা থেকে সবাইকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেউ কোনো ধরনের সুবিধা বা অর্থ দাবি করলেই বুঝতে হবে, এটা প্রতারক চক্রের কাজ। এ ক্ষেত্রে অধিদফতরের পক্ষ থেকে দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজি প্রতিনিধি মনোনয়নে সহযোগিতা, এমপিও শিটে নাম, পদবি, জন্ম-তারিখ সংশোধন, বকেয়া প্রদান, প্রশিক্ষণে শিক্ষক-কর্মকর্তা মনোনয়ন, ইনডেক্স প্রদান, ইনডেক্স কর্তনসহ অধিদফতরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসায় ফোন, ই-মেইল, হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এসএমএস, বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করছে।

ইতোমধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে (হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কর্মকর্তার ছবি ব্যবহার করে) টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরে কোনো কাজে টাকা প্রদানের প্রয়োজন নেই। মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর সুনির্দিষ্ট বিধিবিধানের ভিত্তিতে সেবা প্রদান করে থাকে। অর্থের বিনিময়ে বা উপহারের বিনিময়ে কোনো কিছুই হওয়ার সুযোগ নেই। অধিদফতরের কার্যক্রম নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। যে সমস্ত ফোন নম্বর দিয়ে বিকাশ, রকেট, নগদ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ফোন করে অর্থ দাবি করে, সে সমস্ত নম্বর চিহ্নিত করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরকে অবহিত করা প্রয়োজন।

এ অবস্থায় এ ধরনের প্রতারক চক্র বা ব্যক্তি বা মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর ও মাদরাসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কথিত কর্মকর্তা কর্তৃক ই-মেইল, এসএমএস, ফোন, চিঠিপত্র কিংবা তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভিত্তিতে কাউকে কোনো অর্থ বা উপহার না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে অধিদফতর।

বিবার্তা/জেনি/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত