বাংলাদেশে নারীর চেয়ে পুরুষের মৃত্যুহার বেশি

| আপডেট :  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৩  | প্রকাশিত :  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪৩


বাংলাদেশে নারীর চেয়ে পুরুষের মৃত্যুহার বেশি

বিবার্তা প্রতিবেদক


শহর ও গ্রাম উভয় এলাকাতেই নারীর চেয়ে পুরুষের মৃত্যুহার বেড়েছে। প্রতি হাজারে গড় স্থূল মৃত্যুহার ৫ দশমিক ৮ জন। এরমধ্যে জাতীয়ভাবে প্রতি হাজারে পুরুষ মারা যাচ্ছে ৬ দশমিক ৬ জন এবং নারী মারা যাচ্ছে ৫ দশমিক ১ জন। পল্লি এলাকায় হাজারে বছরে ৬ জন মারা যাচ্ছেন, এরমধ্যে পুরুষ ৬ দশমিক ৮ জন এবং নারী ৫ দশমিক ৩ জন। শহরে গড়ে ৫ দশমিক ৬ জন মারা যাচ্ছেন। এরমধ্যে পুরুষ ৬ দশমিক ৫ জন এবং নারী ৪ দশমিক ৮ জন। ফলে নারীর চেয়ে পুরুষ বেশি হারে মারা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২ (এসভিআরএস) এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এটি সম্প্রতি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সংস্থাটি।

এসভিআরএস প্রকল্পের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের রিপোর্টে উঠে এসেছে পুরুষের চেয়ে নারীর গড় আয়ু বেশি। এমনিতে বলা হয়ে থাকে নারীর ঘাত-প্রতিঘাত ক্ষমতা বেশি। ফলে নারীর অ্যান্টিবডি বেশি ডেভেলপ করে। তাছাড়া নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকে পুরুষ বেশি মারা যাচ্ছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, পল্লি এলাকার জন্মহার শহর এলাকার জন্মহারের চেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে প্রতি হাজারে যা যথাক্রমে ২০ দশমিক ৪ ও ১৬ দশমিক ৬।

একইভাবে ২০২২ সালে পাঁচজনের মধ্যে দুজনের বেশি প্রসূতি সন্তান প্রসব করেছেন বাড়িতে, যা মাতৃ স্বাস্থ্যের উচ্চ ঝুঁকির নির্দেশনা দেয়। দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রেও বেশ শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে। ২০২২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ করা ন্যূনতম চারবার প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণকারীর হার পাওয়া গেছে প্রতি তিনজনে একজন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে গর্ভাবস্থার ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ গর্ভবতী নারী জীবিত শিশুর জন্ম দিয়েছেন। মোট গর্ভবতী নারীর ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ মৃত শিশু জন্ম দিয়েছেন। ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতের মাধ্যমে গর্ভাবস্থার সমাপন হয়েছে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। ইচ্ছাকৃত গর্ভপাত করা নারীর অর্ধেক ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশ গর্ভপাত করা ভ্রূণের লিঙ্গ কী ছিল তা জানেন না বলে জানিয়েছেন।

২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৃত্যুহার প্রতি হাজার জনসংখ্যায় ৫ দশমিক ৮ জন, যা ২০২১ সালের তুলনায় বেড়েছে। পল্লি এলাকায় প্রতি হাজারে মৃত্যুহার ৬ জন, যা শহর অঞ্চলের তুলনায় (৫ দশমিক ১) বেশি।

বিবার্তা/সউদ

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত