বাউ মুরগি পালনে স্বাবলম্বী সাথী
পাবনার বেড়া উপজেলায় বাউ মুরগি পালনে আগ্রহ বেড়েছে খামারিদের। উপজেলায় ৩৫টির বেশি বাউ মুরগির খামার গড়ে উঠেছে ক্লাস্টার বেইড ভ্যালু চেইন মডেলের মাধ্যমে। সুস্বাদু ও পুষ্টিমান হওয়ায় বাউ মুরগির চাহিদাও প্রচুর। বাউ মুরগির বিশেষত্ব হচ্ছে, দ্রুত বর্ধনশীল, মাত্র ৪২-৪৫ দিনে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজন হয়। পাশাপাশি বাউ চিকেন মুরগি জলবায়ু সহিষ্ণু, তাই অধিক ঠান্ডা বা অধিক গরমেও বাউ মুরগির প্রভাব ফেলতে পারে না তাই এই মুরগির রোগবালাই খুবই কম আর যেহেতু রোগবালাই কম তাই বাউ মুরগির উপর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয় খুব কম তাই বাউ মুরগির মাংস বাজারের অন্য মুরগির মাংসের চেয়ে অনেকাংশে নিরাপদ। পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) অর্থায়নে ও প্রোগ্রামস ফর পিপলস ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) এর সহায়তায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট প্রাণিসম্পদ খাতের মাধ্যমে এ জেলায় বাউ মুরগি পালনে আগ্রহী হচ্ছেন খামারিরা। সংস্থার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রাফি আলম বলেন, বাউ মুরগির সাধ অনেক টাই দেশি মুরগির মতো তাই স্থানীয় বাজারে বাউ মুরগির বেশ চাহিদা রয়েছে ও এই মুরগির ফিড কনফারসেশন রেশিও তুলনামূলক কম, মাত্র ২.২-২.৩ এর মত। তাই খাদ্য খরচ তুলনামূলক কম। পিপিডি সংস্থার সহকারী পরিচালক ( মাইক্রোক্রেডিট) মো. আব্দুল মান্নান বলেন, পিকেএসএফ ও পিপিডি এর যৌথ উদ্যোগে লাইভস্টক সেক্টরের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সমন্বিত কৃষি ইউনিট, যার ফলে ক্ষুদ্র খামারিদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে আধুনিক ও নতুন নতুন প্রযুক্তি। সর্বোপরি খামারি সাথী মাত্র ৪৫ দিনে বাউ মুরগি বিক্রি করে পনের হাজার টাকা আয় করেন। বিবার্তা/পলাশ/মাসুম
বাউ মুরগি পালনে স্বাবলম্বী সাথী
সারাদেশ
পাবনা প্রতিনিধি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত