মোহনপুরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

| আপডেট :  ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২৮  | প্রকাশিত :  ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২৮


মোহনপুরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

সারাদেশ

রাজশাহী প্রতিনিধি


রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ, নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের বৈষম্যের শিকার হওয়া শিক্ষক  অবিভাবক ও বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।

২৪ আগস্ট, শনিবার দুপুরে মোহনপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ দুরুল হোদার নানা অনিয়ম দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সহকারি মৌলভি শিক্ষক এসএমএ রউফ।

লিখিত ঐ বক্তব্যে তিনি দাবী করেন, এই দুরুল হোদা রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ। চাকরি করতেন একটি মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে। কিন্তু নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বনে গেছেন অধ্যক্ষ, করেছেন দুর্নীতি, গড়েছেন অবৈধ সম্পদ। পূর্বেই তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য কারনে কোনই ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ দুরুল হোদা’র বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছে তারাই হয়রানির শিকার হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি অভিভাবক সদস্য মুকলেসুর রহমান বর্তমান অধ্যক্ষ ও পূর্বের উপাধ্যক্ষ দুরুল হোদার অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি, এমপিওভুক্তি/এমপিও সংশোধন বন্ধ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করেছিলেন। তাতেও কোন কাজ হয়নি। দুরুল হুদা মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকে অসংখ্য অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। যার তথ্য প্রমান দেন উপস্থিত সাংবাদিকদের।

লিখিত বক্তব্যে সহকারি মৌলভি শিক্ষক এসএমএ রউফ আরো বলেন, দুরুল হোদা নিজের দুর্নীতিকে ঢাকতে ২০১৭ সালের পর আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতার জোরে উপাধ্যক্ষ দুরুল হুদা রাতের আধারে পছন্দসই লোক নিয়ে গভর্নিং বডি তৈরি করে নিজের ইচ্ছেমত মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। উপাধ্যক্ষ পদে প্রায় ২৮ বছর চাকুরীর পর নিজের শিক্ষা সনদে তৃতীয় শ্রেণি থাকা সত্বেও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি, মোহনপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন কবিরাজকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে  ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হয়ে যান।

উক্ত সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, অবিভাবক আ. মানিক,  অবিভাবক মো. হামিদ, মো. মুরাদ মোল্লা, সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ সিরাজুল মোল্লা। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের মামুনুর রশীদ,  রাজশাহী কলেজের  জুয়েল রানা, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মোঃ রাফি খান, মোহনপুর সরকারি কলেজের সৌরভ, মোহনপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এসকল অভিযোগের ব্যাপারে ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ দুরুল হুদার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার সবই মিথ্যা। আমার চাকরি প্রায় শেষের দিকে। আমি এতদিনে রাজশাহী শহরে একটি জমি কিনেছি। যা কিছু করেছি, নিয়মের মধ্যে করেছি। আপনি দয়া করে আমার অফিসে আসেন। আমি সব বিষয় খুলে বলবো। মাদ্রাসায় অনুপস্থিতির ব্যাপারে বললে তিনি বলেন, আমি ইউএনও স্যারের থেকে ছুটি নিয়েছিলাম।

পরে ধুরইল ডিএস কামিল মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা বলেন, অধ্যক্ষ ছুটি নিয়েছেন কি না জানা নাই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিবার্তা/মোস্তাফিজুর/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত