শহুরে শিক্ষার্থীদের ঘরোয়া স্বাদ দিতে জবিতে আয়োজিত হল পিঠা উৎসব

| আপডেট :  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯  | প্রকাশিত :  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯


শহুরে শিক্ষার্থীদের ঘরোয়া স্বাদ দিতে জবিতে আয়োজিত হল পিঠা উৎসব

শিক্ষা

জবি প্রতিনিধি


‘হিম হিম শীতের বাতাস, উষ্ণতা ছড়ায় পিঠা পুলির সুবাস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরাঞ্চলে বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্বাদের পিঠা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

২৮ জানুয়ারি, রবিবার নৃবিজ্ঞান বিভাগের সকল ব্যাচের উদ্যোগে পিঠা উৎসবটি উদ্‌যাপিত হয়। নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রত্যেকটি ব্যাচ ভিত্তিক আলাদা আলাদা স্টলে বিভিন্ন স্বাদের পিঠা বিক্রি করা হয়। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মিলনমেলায় পরিণত হয়।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহমিদা জাহান আনিকার উদ্যোগে, বিভিন্ন ব্যাচের সমন্বয়ে আয়োজিত পিঠা উৎসবটি বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। উৎসবটি সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. ফাতেমা বাশার।  

ফাহমিদা জাহান আনিকা বলেন, আমরা যারা শহরে বসবাস করি তারা অধিকাংশই পিঠার স্বাদ নিতে শহরের স্টলগুলোতে যেতে হয়, সেগুলো সাধারণত অস্বাস্থ্যসম্মত এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় না। ফলে দেখা যায়, শহরে বসবাসকারী শিক্ষার্থীরা পিঠার আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়। সকল শিক্ষার্থীদের কাছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে উৎপন্ন, বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্বাদের পিঠা পৌঁছে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ।

উৎসবটিতে অংশ নেওয়া ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাশ্বতী মোহন্ত স্নেহা বলেন, ছোটবেলায় মা-বাবার সাথে পিঠা উৎসবে যেতাম। সেখানে পিঠা কিনে খেতাম, মজাই লাগতো। তবে এইবার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগে পিঠা উৎসবে নিজেদের স্টল দিবো, নিজ হাতে বানানো পিঠা বিক্রি করবো তা কখনো ভাবিনি। খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমাদের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর আয়োজনের জন্য।

নজরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে শুনে দেখতে আসলাম। বেশ কয়েকটি পিঠা ও খেলাম। পিঠাগুলো বেশ মজা। নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। এই ধরনের আয়োজন প্রত্যেক বছর করবে বলে আশা করছি।

সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. ফাতেমা বাশার বলেন, এমন পিঠা উৎসব অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জেলার পিঠা সম্পর্কে ধারণা লাভ করবে।

বিবার্তা/রুদ্র/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত