সাকিবদের উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে তামিমদের বরিশাল
বিপিএলে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে রংপুরকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লার সঙ্গী বরিশাল। রংপুরের দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই জয় পায় বরিশাল। ১ মার্চ, শুক্রবার ফাইনালে বরিশালের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ২০২১ সালের বিপিএলেও ফাইনালে ছিল এই দুই দল। সেবার জয় পেয়েছিল কুমিল্লা। এক বছর বিরতি দিয়ে আবার ফাইনালে দেখা হচ্ছে এই দুই দলের। বুধবার বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কিছুটা একপেশে ম্যাচই খেলেছে বরিশাল। রান তাড়া করতে নেমে বিপিএলে প্রথমবার নন-স্ট্রাইকে ছিলেন তামিম। কারণটা যে ফজল হক ফারুকী তা সবারই জানা। তবে এড়িয়ে গিয়ে লাভ হয়নি। তামিম আউট হয়েছেন ১০ রান করে। আবু হায়দার রনির বলে মোহাম্মদ নবীকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। একই ওভারে কাঁটা পড়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজও। এক বলের বিরতিতে এলবিডব্লিউতে আউট তিনি। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম এবং সৌম্য সরকার খেললেন ৪৭ রানের জুটি। রংপুরের কাছ থেকে ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছে তখনই। সাবধানি ইনিংস খেলে বরিশালকে নিয়ে গিয়েছেন লক্ষ্যের আরও কাছে। মোহাম্মদ নবী আক্রমণে এসেই সৌম্যকে ফিরিয়েছেন। ১৮ বলে ২২ রান করে ফাইনালের পথে দলকে এগিয়ে দিয়ে যান সৌম্য। মুশফিক ছন্দে ছিলেন আজ শুরু থেকেই। কাইল মায়ার্সকে নিয়ে রংপুরের নাভিশ্বাস তুলেছেন। খুব দ্রুতগতির না হলেও খেলেছেন কার্যকরী ইনিংস। অন্যদিকে বিগশট উপহার দেন মায়ার্স। ১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ছিল ৩ ছয়। আউটও হয়েছেন বড় শট খেলতে গিয়ে। বাউন্ডারি লাইনে হাসান মাহমুদ এবং রনি তালুকদারের বোঝাপড়ায় আউট তিনি। মুশফিক বাকি কাজটা সেরে নিয়েছেন ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে। এর আগে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা রংপুর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৫ বলে ২ রান করে আউট হন শেখ মাহেদী। একই ওভারে শেষ বলে সাকিবকে আউট করে উল্লাসে ভাসে বরিশাল। ৪ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই তারকা ক্রিকেটার। এদিনও ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি রনি তালুকদার। ১২ বলে ৮ রান করে মায়ার্সকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর নিকোলাম পুরানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন জেমি নিশাম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি পুরান। ১২ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। ২২ বলে ২৮ রান করে আউট হন নিশাম। এতে মাত্র ৪৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রংপুর। তবে মোহাম্মদ নবিকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১৫ বলে ১২ রান করে নবি আউট হলে, ১৪ বলে ১৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন সোহান। শেষ দিকে রংপুর শিবিরে হাল ধরেন শামীম পাটোয়ারী। তাকে সঙ্গ দেন আবু হায়দার রনি। ১৯তম ওভারে ২৬ রান তুলে ২০ বলে ফিফটি তুলে নেন শামীম। শেষ পর্যন্ত শামীমের ৪৯ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ১৪৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রংপুর। ফরচুন বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন জেমস ফুলার। দুই উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। এ ছাড়াও কাইল মায়ার্স ও মেহেদী মিরাজ একটি করে উইকেট নেন। বিবার্তা/এমজে
সাকিবদের উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে তামিমদের বরিশাল
খেলা
স্পোর্টস ডেস্ক
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত