হিলিতে আবারও বাড়লো আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে আলু আমদানি। তবে আমদানিতেও কমছে না ভারতীয় ও দেশীয় আলুর দাম। ভারতীয় আলু কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা আর দেশীয় আলু কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এদিকে ঈদের পর থেকে আবারও দাম বাড়তে শুরু করেছে দেশীয় রসুন, পেঁয়াজ ও আদার দাম। দেশীয় রসুন কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা, আমদানিকৃত আদা কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা। আর দেশীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পণ্যগুলোর দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ। বিক্রেতারা বলছেন, টানা ছুটি থাকায় আমদানি বন্ধ ছিল ও সরবরাহ কমে যাওয়া দাম বেড়েছে। ১৬ এপ্রিল, মঙ্গলবার হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগে দেশীয় আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, আজ সেই আলু ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী রসুন আগে ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে, তা এখন ১০০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত চায়না আদা আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, তা এখন ৬০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন ১৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানিকৃত আলু বন্দর থেকেই দেশের স্থানে পাঠানো হচ্ছে। তবে ক্রেতারা সাদ নেই বলে আমদানিকৃত আলু কিনতে চায় না। হিলি বাজারে আলু আদা, পেঁয়াজ ও রসুন কিনতে আসা ফরহাদ বলেন, বাড়িতে মেয়ে- জামাই এসেছে তাই বাজার করতে আসলাম। এসে দেখি সব জিনিসের দাম বেশি। আমি ঈদের আগে দেশীয় আলু কিনেছি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে, আজকে সেই আলু ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনলাম। আগে রসুন কিনেছি ৮০ টাকা কেজি দরে, আজ সেই রসুনের দাম চাচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, আদা কিনেছি ১৮০ টাকা কেজি দরে, আজ আদা কিনেছি ২৪০ টাকা কেজি দরে। কি আর করার নিতেই হবে আমাকে তাই অল্প অল্প করে নিলাম। হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে সরবরাহ বেশি ছিল তাই দামও কম ছিল। টানা ৬ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আমরা গেলো শনিবারও আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে। গত তিন দিন থেকে কেজিতে আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এখন আমরা খুচরা বিক্রি করছি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আদা কেজিপ্রতি বিক্রি করেছি ১৮০ টাকায়,এখন কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। রসুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি এখন সেই রসুন কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত তিন থেকে পাইকারি বাজারে দাম বেশি। আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। আলুর দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশীয় আলু বেশি ভাগ স্টোর করেছেন কৃষকরা। আমদানিকৃত আলুর সাদ ভালো না হওয়ায় আমরা আমদানিকৃত আলু বিক্রি করি না। যদিও দুই একজন নিয়ে আসে। তাও আবার সেইগুলো বিক্রি করতে অনেক সময় লাগে। টানা ৬ দিন ছুটি শেষে গতকাল সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে ২৭টি ভারতীয় ট্রাকে ৬৯৩ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত আলু বন্দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়। এর আগে ছিল ৩১ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে। বিবার্তা/রব্বানী/সউদ
হিলিতে আবারও বাড়লো আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম
সারাদেশ
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত