৩৫ ঊর্ধ্ব শিক্ষকদের নিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন

| আপডেট :  ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৪:২১  | প্রকাশিত :  ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৪:২১

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েও এমপিও ফাইল আটকে ছিল হাজারো শিক্ষকের। উপজেলা অফিস থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আঞ্চলিক অফিসগুলোতে এ নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন তারা। সমস্যা সমাধানে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সর্বশেষ আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে বয়সসীমা শিথিল করে পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে হাজারো শিক্ষকের হয়রানি বন্ধ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালতে করা বিভিন্ন রিট পিটিশনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে গত বছরের ৩০ মার্চ জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৩৯০০ ও ২০১৯ নম্বর মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারির আগে যারা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ লাভ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রযোজ্য প্রার্থীরা আবেদন করেন ও নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সোনা মনি চাকমা সই করা পরিপত্রে বলা হয়, এনটিআরসিএ তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে সুপারিশ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে যারা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছিলেন ও ২০১৮ সালে ১২ জুনের আগে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ প্রাপ্ত হয়েছেন তাদের এমপিও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বয়সসীমা প্রযোজ্য হবে না। তবে এই আদেশ কোনো ক্ষেত্রে নজির হিসেবে গণ্য করা যাবে না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে। পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মাউশিকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

শর্তের বিষয়ে এমপিও প্রত্যাশী শিক্ষকদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী শুধু মাত্র রিট পিটিশনরা এর আওতায় আসবেন, না সবাই আসবেন তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষক।

বৈঠকে অংশ নেওয়া মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মিটিংয়ের শেষে আমি ছিলাম না। তবে আলোচনায় যতটুকু আমি জেনেছি এমপিও সবাই পাবে। সমস্যা হলে পুনরায় সংশোধিত পরিপত্র জারির কথাও জানান তিনি।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের এমপিও নীতিমালায় বয়সের যে কাঠামো দেওয়া আছে, সেটার সঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা চাকরি পেয়েছেন, তা মিলছে না। তবে যেহেতু আদালতের নির্দেশনা আছে, আমরা সেই নির্দেশনার মধ্যে তাদের নিয়ে আসবো।

জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩৪ হাজার শিক্ষককে সুপারিশপত্র দেয় এনটিআরসিএ। এসব শিক্ষক নিজ নিজ স্কুলে যোগদান করেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর। ফলে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন বাতিল করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়। এতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েও সাত হাজার শিক্ষকের এমপিও নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। চার মাস ধরে তারা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছিলেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত