অক্টোবরে বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল চালু হবে: পর্যটনমন্ত্রী

| আপডেট :  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৭  | প্রকাশিত :  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৭


অক্টোবরে বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল চালু হবে: পর্যটনমন্ত্রী

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, এ বছরই অক্টোবর মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল চালু হবে।

তিনি বলেন, নতুন রাডার স্থাপন করা হয়েছে। ফলে দেশের সমগ্র আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসায় আমাদের আকাশসীমা দিয়ে চলাচলকারী উড়োজাহাজ হতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সচিবালয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী কমিটির সাথে বৈঠককালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, শীতকালে প্রায়ই কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ডাইভারশন করতে হয়। এই ডাইভারশন যাতে করতে না হয় তার জন্য আইএলএস সিস্টেম আপগ্রেড করা হচ্ছে। এছাড়াও মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে কোনো ফ্লাইট ডাইভারশনের প্রয়োজন হলেও তা যেন দেশের ভেতরেই করা হয়। এজন্য শীতকালের ওই সময়ে সিলেট এবং চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট ২৪ ঘণ্টা অপারেটিং থাকবে।

ফারুক খান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহর নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। নতুন নতুন রুট চালু করা হয়েছে এবং আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা-রোম ফ্লাইট চালু হবে। পরবর্তীতে আরও নতুন রুট চালু করার জন্য নতুন এয়ারক্রাফট কেনার কথাও ভাবা হচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোও ভালো করছে।

তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কাজের ফলে ইতোমধ্যেই দেশীয় পর্যটকের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আমরা বিদেশি পর্যটক বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। দেশের পর্যটনের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে। পুরাতন হয়ে যাওয়া বিভিন্ন পর্যটন স্থাপনা সংস্কার এবং এর কলেবর বৃদ্ধির জন্য দেশি-বিদেশি যৌথ বিনিয়োগ বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।

মন্ত্রী আরো বলেন, পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প দেশের অর্থনীতিতে যে ভূমিকা রাখছে তা যাতে আরও বৃদ্ধি পায় সেজন্য আমরা কাজ করছি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা চাই গণমাধ্যমের বন্ধুরা আমাদের অংশীজন হিসেবে দেশের পর্যটন এবং এভিয়েশন শিল্পের সম্ভাবনাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরুক। তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। যেহেতু এই দুটি শিল্প টেকনিক্যাল সেজন্য এখানে যারা রিপোর্টিং এর দায়িত্ব পালন করেন তাদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে। ফলে গণমাধ্যমে কর্মীদের জন্য এই দুই শিল্পের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বুঝতে সহজ হবে এবং একই সাথে এই শিল্পে কর্মরত জনবলের সাথে তাদের সম্পর্ক গভীর হবে।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত