‘অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে রাখতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র’

| আপডেট :  ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৭  | প্রকাশিত :  ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৭


‘অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে রাখতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র’

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


উন্নয়নের যাত্রাকে বাঁধাগ্রস্ত এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে রাখতে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কী দোষ করেছিল মেট্রোরেল স্টেশন? কী দোষ করেছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা? কী দোষ ছিল সিটি করপোরেশনের আবর্জনা পরিষ্কারের যানবাহনের?

২৮ জুলাই, রবিবার সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এসময় মন্ত্রী ডেমরা রোডে ভস্মীভূত হানিফ উড়াল সেতুর টোল প্লাজা, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় (মৃধাবাড়ি), চট্টগ্রাম রোডে ভস্মীভূত হানিফ উড়াল সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত টোল প্লাজা এবং তৎসংলগ্ন সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় এবং ধলপুরে দক্ষিণ সিটির যান্ত্রিক বিভাগে (গোলাপবাগ মাঠের কোণায়, ধলপুর বাজার সংলগ্ন) ভস্মীভূত ৩টি ডাম্প ট্রাকসহ ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে তারা দেশকে পিছিয়ে দিতে এবং মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু এদেশের দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীসহ সাধারণ মানুষ তা সফল হতে দেননি।

তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষ যাতায়াত করে। সে মেট্রোরেল স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের আবর্জনা পরিবহন গাড়ি প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করে ঢাকা মহানগরীর মানুষকে স্বস্তিকর জীবন দিচ্ছে, সে আবর্জনা পরিবহনকারী ড্রাম ট্রাকগুলো আগুন দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এতেই বুঝা যায় এরা দেশের শত্রু, এরা দেশের অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না।

সহিংসতায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে তিনি এসময় আরও বলেন, প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা অনুমেয় হলেও সামগ্রিকভাবে এই ক্ষতির পরিমাণ অনেক। নাশকতায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণে মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশন যুগপৎভাবে কাজ করবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সকল কাউন্সিলররা ঐক্যবদ্ধ।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত