অবসর উত্তর ছুটির সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ

| আপডেট :  ২২ আগস্ট ২০২১, ০৪:০২  | প্রকাশিত :  ২২ আগস্ট ২০২১, ০৪:০২

উর্ধ্বতন সরকারী কর্মচারীর ক্ষেত্রে ইহার পরিমাণ হইবে এক বৎসর। এই ছুটি আংশিকভাবে গড় বেতনে এবং আংশিকভাবে আধা গড় বেতনে নিম্ন লিখিতভাবে মঞ্জুর করা হইবে।

গড় বেতনে ৪ মাস পর্যন্ত (যদি পাওনা থাকে) এবং গড় বেতনে আরও ২ মাস ছুটি (যদি পাওনা থাকে) লওয়া যাইতে পারে যদি কর্মচারী ঐ সময়ের জন্য হজ্জ্ব/তীর্থ যাত্রা ও শ্রান্তি বিনোদনের উদ্দেশ্যে বিদেশ গমন করেন। (গড় বেতনে অতিরিক্ত দুই মাস ছুটি ডাক্তারী সার্টিফিকেট মঞ্জুর করা যাইবে না, কারণ ছুটি সমাপনান্তে উক্ত কর্মচারী কাজে যোগদান করবেন না)। এক বৎসর পর্যন্ত ছুটির অবশিষ্ট ছুটি অর্থাৎ ক্ষেত্র বিশেষে ৮ মাস কিংবা ৬ মাস আধা গড় বেতন হইবে।

চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে অবসর পূর্ব ছুটির সর্বোচ্চ পরিমাণ হইবে গড় বেতনে দুই মাস (যদি পাওনা থাকে) এবং তাহা ৬ মাস পর্যন্ত বাড়ানো যাইতে পারে, যদি উক্ত কর্মচারী হজ্জ্ব/তীর্থ যাত্রায় ৪ মাস বিদেশে অতিবাহিত করিয়া থাকেন।

১। কোন সরকারী কর্মচারী ছুটি ভোগ করার পর পুনরায় কাজে যোগদান করিলে ১১ হইতে ২২ কলাম পূরণ করিতে হইবে। ৩/২ মাস সর্বোচ্চ সীমার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত গড় বেতন ছুটির হিসাব ১২ কলামে লিখিতে হইবে এবং ডাক্তারী সার্টিফিকেট কিংবা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, বার্মা, সিংহল, ভারতের বাহিরে হজ্জ্ব/তীর্থ যাত্রা, শিক্ষা, বিশ্রাম ও শ্রান্তি বিনোদনের উদ্দেশ্যে গৃহিত ছুটির হিসাব ১৩ কলামে লিখিতে হইবে। ডাক্তারী সার্টিফিকেটে গৃহীত আধা গড় বেতনের ছুটিকে গড় বেতনের ছুটিতে রূপান্তরিত করিয়া ১৪ (ক) কলামে লিখিতে হইবে। এবং (সমগ্র চাকুরী কালে) গড় বেতনের হিসাবে সর্বোচ্চ ১২/৬ মাস পর্যন্ত ইহার দ্বিগুন ১৪ (খ) কলামে লিখিতে হইবে। আধা গড় বেতনে গৃহীত ছুটির হিসাব ১৬ কলামে লিখিতে হইবে এবং ১৪ (খ), ১৬ ও ১৭ কলামের সমষ্টি ১৮৭ কলামে লিখিতে হইবে। অবসর পূর্ব ছুটির ক্ষেত্রে ১৭ কলামের ছুটি গ্রাহ্য হইবে না।

২। আধা গগড় বেতনে গৃহীত ছুটি যদি ঐরূপ মোট পাওনা ছুটির পরিমাণের অতিরিক্ত হয় তবে ছুটির হিসাবে ১৭ এবং ২২ কলামে লাল কালিতে লিখিতে হইবে। পাওনা হয় নাই এমণ ছুটি ভোগের পর কোন সরকারী কর্মচারী কাজে যোগদান করিলে পাওনা হওয়ার পূর্বেই তিনি যে ছুটি ভোগ করিয়াছেন উহার সমপরিমাণ ছুটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কোন ছুটি তাহার পাওনা হইবে না, অর্থাৎ ১৭ কলামের গৃহীত ছুটি বাদ দিয়া ৬ কলামে তাহার অর্জিত ছুটি লিখিত হইবে। ১৯ এবং ২০ কলামে গড় বেতন বাকী প্রাপ্য ছুটি ২২ কলামে খরচ লেখার ফলেও পরিবর্তিত হইবে না, তবে পাওনা হয় নাই এমণ ছুটি ভোগ করা হইয়া থাকিলে ঐ পরিমাণ ছুটি পুনরায় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করা যাইবে না। ১৯৫৫ সালের নির্ধারিত ছুটির নিয়মাবলীর ৫ নিয়ম অনুসারে পাওনা হয় নাই এমণ ছুটি সমগ্র চাকুরীকালে ক্ষেত্রে বিশেষে সর্বোচ্চ ১২/৩ মাস পর্যন্তগ্রহণ করা যাইতে পারে।

৩। আধা গড় বেতনে গৃহীত ছুটি যদি ঐরূপ মোট পাওনা ছুটির পরিমানের অতিরিক্ত হয় তবে ছুটির হিসাব ১৭ এবং ২২ কলামে লাল কালিতে লিখিতে হইবে। পাওনা হয় নাই এমণ ছুটি ভোগের পর কোন সরকারী কর্মচারী কাজে যোগদান করিলে পাওনা হওয়ার পূর্বেই তিনি যে ছুটি ভোগ করিয়াছেন উহার সমপরিমাণ ছুটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কোন ছুটি তাহার পাওনা হইবে না, অর্থাৎ ১৭ কলামের গৃহীত ছুটি বাদ দিয়া ৬ কলামে তাহার অর্জিত ছুটি লিখিত হইবে। ১৯ এবং ২০ কলামে গড় বেতন বাকী প্রাপ্য ছুটি ২২ কলামে খরচ লেখার ফলেও পরিবর্তিত হইবে না, তবে পাওনা হয় নাই এমণ ছুটি ভোগ করা হইয়া থাকিলে ঐ পরিমাণ ছুটি পুনরায় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করা যাইবে না। ১৯৫৫ সালের নির্ধারিত ছুটির নিয়মাবলীর ৫ নিয়ম অনুসারে পাওনা হয় নাই এমণ ছুটি সমগ্র চাকুরীকালে ক্ষেত্র বিশেষে সর্বোচ্চ ১২/৩ মাস পর্যন্ত গ্রহণ করা যাইতে পারে।

পীড়াজনিত ছুটি, মাতৃত্বের কারণে ছুটি , হাসপাতাল ছুটি, শিক্ষা ছুটি, অসাধারণ ছুটি এবং কোয়ারেন্টাইন ছুটির হিসাব ২৩ কলামে লিখিতে হইবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত