‘অশুভ শক্তি প্রতিহত করতে অর্থনৈতিক বিকাশের সাথে সাংস্কৃতিক জাগরণও প্রয়োজন’

| আপডেট :  ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৩  | প্রকাশিত :  ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৩


‘অশুভ শক্তি প্রতিহত করতে অর্থনৈতিক বিকাশের সাথে সাংস্কৃতিক জাগরণও প্রয়োজন’

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে হলে শুধু অর্থনৈতিক বিকাশ নিশ্চিত করলেই হবে না বরং সাংস্কৃতিক জাগরণও প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।

সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে “সন্ত্রাস, নাশকতা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট” শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব ‘৭১।

ড. মশিউর রহমান বলেন, বাঙালির যতবার ক্রান্তিকাল এসেছে ততবার বাঙালির শক্তির উৎস বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত। যতবার বঙ্গবন্ধুর দিকে ফিরে তাকানো যায় ততবার সমাধানের সুস্পষ্ট পথও পাওয়া যায়। যতবার সাহস হারায় ততবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সংবিধানে লেখা সুস্পষ্ট নির্দেশনা, মূলনীতি সেটি সাড়ে সাত কোটি বাঙালির লড়াইয়ে স্বর্ণাক্ষরে লেখা সেইসব মীমাংসিত বিষয় তৎকালীন জাসদের মধ্যে এলো। জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো। তিনি তার দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করে বললেন, প্রচলিত এই সমাজব্যবস্থা ভেঙে ফেলব, নতুন সমাজ গড়ব। তাঁর এই প্রচলিত সমাজ ভাঙার লড়াই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্তব্ধ করা হয়েছে। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম আজও সুস্থ, সবল ও শক্তিশালীভাবে বেঁচে আছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ শক্তিকে চিহ্নিত করে পরিপূর্ণ বিচারের আওতায় না আনা, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে উদারভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা।

তিনি বলেন, বাংলা মাধ্যম থেকে শুরু করে ইংরেজি মাধ্যম সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্য পাঠ্য করা আবশ্যক। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে বাংলা মাধ্যমে কিন্তু তা আংশিক, অসম্পূর্ণ ও ভুল। দীপন হত্যাকাণ্ড, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড, হুমায়ুন আজাদের উপর হামলা, রমনায় গান শুনতে গেছে বোমা মেরেছে, উদীচীর গানের অনুষ্ঠানে হামলা, এই প্রতিটি ঘটনার সাথে আজকের রাষ্ট্র মেরামতের নামে যারা ধ্বংসাত্মক কাজে নেমেছে এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। শুধু দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ নিশ্চিত করলেই হবে না, সাংস্কৃতিক জাগরণের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

মুক্ত আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি’র সভাপতিত্বে মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ ও সহ সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান।

গৌরব’৭১ -এর সাধারণ সম্পাদক এফএম শাহীনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গৌরব ‘৭১-এর সভাপতি এসএম মনিরুল ইসলাম মনি, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী ও শেখ মেহেদী হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রহিমা মুক্তা ও ছাত্রলীগের স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাজিব আহমেদ।

বিবার্তা/সোহেল/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত