আজ মন্ত্রীসভায় যেসব সিদ্ধান্ত হলো

| আপডেট :  ৩০ মে ২০২২, ০৯:৫৪  | প্রকাশিত :  ৩০ মে ২০২২, ০৯:৫৪

জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) বা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীনে একটি উইং করে জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ‘জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন কেন্দ্র আইন, ২০২২’ এর খসড়া উপস্থাপন করলে তা অনুমোদন না দিয়ে এ নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা ব্যবস্থা মূল্যায়ন ব্যবস্থার মধ্যে একটা সমতা নিয়ে আসা, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি আছে এরমধ্যে অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিটা যাতে ট্রান্সপারেন্ট এবং সিমিলারিটি থাকে যাতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা না হয়। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন কেন্দ্র আইন নিয়ে এসেছে। একটা প্রতিষ্ঠান বা করপোরেশনের মতো করবেন, ডিজি টাইপের একজন লোক দিয়ে নতুন একটা কেন্দ্র করতে চাচ্ছেন। মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর এ বিষয়টা নিয়ে একটু দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে। এটার জন্য আলাদা প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই।’

তিনি বলেন, ‘নায়েম বা এনসিটিবি এই দুইটা যে আছে, এগুলোর আইন ও কার্যক্রম সুপারভিশন করেন। ২০০৯ সালে একাডেমিক কাউন্সিল আইন হয়েছে, সেখানেও এ জাতীয় কিছু ইন্ডিকেশন দেওয়া আছে। এ তিনটি প্রতিষ্ঠান দেখে… নতুন করে প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই। যদি ওইসব আইন ও বিধি মডিফিকেশন করে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর অধীনে একটি উইং করে কাজকর্ম করা যেতে পারে। প্রয়োজনে একজন পরিচালকের অধীনে ১০/১২ সহায়ক কর্মকর্তা নিয়ে উইং করা যেতে পারে।’

‘বোর্ডের অধীনে করা হলে ১১টি বোর্ডে আবার ১১টি করতে হবে তাই কেন্দ্রীয়ভাবে করতে বলা হয়েছে।’ এসব পর্যবেক্ষণ দিয়ে খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভা ফেরত পাঠিয়েছে। ওনারাও রাজি হয়েছেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০২২’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনের আওতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অধীনে গঠিত হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা গবেষণা ট্রাস্ট’।
তিনি বলেন, এই ট্রাস্টের জন্য একটা স্থায়ী তহবিল থাকবে। যার কাজ হবে ভাষা গবেষণা ও ভাষা শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে বৃত্তি, ফেলোশিপ, অনুদান, প্রশিক্ষণ প্রদান।

ওমানের সঙ্গে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কর্মীদেরও দু-দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসার প্রয়োজন হবে না।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ অনুমোদনের কথা জানান। তিনি বলেন, ওমানের সঙ্গে একটা চুক্তি সই হয়েছে, এখন থেকে যেন ওমানে আমরা বিনা ভিসায় যেতে পারি সেজন্য এই চুক্তি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইমার্জেন্সির কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ওনারা জরুরি ভিত্তিতে একটা অ্যাপ্রুভাল নিয়ে চুক্তিটা সই করে ফেলেছিল, কিন্তু যেহেতু আন্তর্জাতিক চুক্তি ক্যাবিনেটে আসতে হয়। সেজন্য ক্যাবিনেট আজকে সেটা অনুমোদন দিয়েছে।

তিনি বলেন, কূটনীতিক, অফিসিয়াল, স্পেশাল বা সার্ভিস পাসপোর্টধারীদের…এটা আমাদের যেসব লোকেরা ওখানে কাজ করতে যাবেন তাদের, …ওখানে বেড়ানোর জন্য না। যারা ওয়ার্কার তাদের (ভিসা) লাগবে না।

বোরোর ভরা মৌসুমে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে বাজার দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠকে আলোচ্যসূচির বাইরে আলোচনা বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজ মূলত মার্কেট মেকানিজম নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন। এখন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে কীভাবে পেমেন্টগুলো এনশিওর করতে পারবো, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, বিশেষ করে চাল ও তেল নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। এই ভরা মৌসুমে চালের দাম কেন বেশি? গোয়েন্দা প্রতিবেদন এবং কিছু সাজেশন ছিল, এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

‘আমাদের মার্কেট সার্ভে করে ইমিডিয়েটলি একটা অ্যাকশনে (বাজার জরিপ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে) যেতে বলা হয়েছে। কেন চালের দাম বাড়বে? তাই কোথায় কে চাল মজুত করে এবং আমাদের কিছু ইনফরমেশন আছে যে, আমি যে ইন্ডাস্ট্রিটা করবো বা যে প্রোডাকশনে যাবো, আমার তো মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন আছে। মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশনে তো বলা আছে, আমি কী করতে পারবো?’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত