আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

| আপডেট :  ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৩  | প্রকাশিত :  ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৩


আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। আমরা দিন শেষে চাই গুজব বা রিউমারমুক্ত গণমাধ্যম। যেখানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকবে এবং সরকার বা অথোরিটিকে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে। উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকবে এবং সমালোচনার জায়গা থাকবে।

২৫ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশন-এটকো’র সাথে এক সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা হবে, কিছু কিছু সমালোচনা হবে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে, সেগুলো জেনে সুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তিনি চান সমালোচনা হোক সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার বা সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কাজ নিয়ে যদি কোনো বিচ্যুতি বা ব্যর্থতা থাকে অবশ্যই সমালোচনা হবে এবং সেটা যদি প্রথম পাতায় প্রিন্ট মিডিয়া বা ইলেক্টনিক মিডিয়াতে হেডলাইনে থাকে তাহলে সরকারের সেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ব্যক্তিবর্গ যে জবাব দিবেন সেই জবাবগুলো যাতে একইভাবে গুরুত্বসহকারে মিডিয়াতে আসে; যেন জনগণ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। কারণ, গণতন্ত্রে কিন্তু মানুষকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং ইনফর্ম ডিসিশন নিতে হয়।

এ আরাফাত বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে এক ধরনের অপচেষ্টা চলে। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের যে বিস্তৃতি ঘটেছে সেখানে কীভাবে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায় এবং শৃঙ্খলা আনা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। প্রথমেই সতর্ক থাকতে হবে, আমরা যেমন মিসইনফরমেশনকে নির্মূল করতে চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই কিন্তু সেটি করতে যেয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেখানে যেন ওভারস্টেপ না হয়। তবে দেশ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধ এবং ত্রিশ লক্ষ শহিদদের নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। এগুলো দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড।

তিনি মনে করেন আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সমালোচনার স্পেস রেখে কীভাবে একসাথে কাজ করা যায় সেই চেষ্টা থাকবে।

বৈঠকে অ্যাটকো নেতৃবৃন্দ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্প্রসারণ ও উন্নতির জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী এ লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এসময় ডিবিসি চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মতো ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি পৃথক প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক টিভির পরিচালক নাবিদুল হক, বৈশাখী টিভির উপ-ব্যবস্থাপক টিটু আলম মিলন, এনটিভির পরিচালক মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদ।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত