আমিরাতের গ্রিন ভিসায় যেসব সুবিধা থাকছে

| আপডেট :  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৫২  | প্রকাশিত :  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৫২

তেল সমৃদ্ধ সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন গ্রিন ভিসার আওতায় স্পন্সর ছাড়াই দেশটিতে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন বিদেশিরা। আনা হয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তন। এই ভিসায় ১৮-এর পরিবর্তে ২৫ বছর বয়সী সন্তানকে স্পন্সর করার সুযোগ পাবেন বাবা-মা। আগে গ্রিন ভিসাধারীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ৩০ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে হতো, তবে নতুন নিয়মে ৯০ থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত সময় পাবেন বিদেশিরা।

আরব আমিরাতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি মেধাবী লোকদের টানতে গ্রিন ভিসায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার।

এ বিষয়ে আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ড. থানি আল-জায়েদি ঘোষণা দেন, নতুন গ্রিন ভিসাধারীরা কোম্পানির স্পন্সর ছাড়াই কাজ করতে পারবেন। গ্রিন ভিসা কোম্পানির ওয়ার্ক পারমিটের সঙ্গে যুক্ত করা হবে না। অত্যন্ত দক্ষ ব্যক্তি, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি মেধাবী ছাত্র এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের লক্ষ্য করেই এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

তিনি ঘোষণায় আরও জানান, আমিরাতে মেধাবীদের আকৃষ্ট করার জন্য ফ্রিল্যান্স ভিসা চালু করা হচ্ছে। আর এই ভিসা মূলত স্বাধীন ব্যবসার মালিকদের দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আল-জায়েদি জানান, ফ্রিল্যান্সদের জন্য বিশেষ ভিসা থাকবে। অবসরপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষ খাতের বিশেষ ব্যক্তিদের আকৃষ্টের জন্য।

এই ভিসার মেয়াদ এবং বেতন কেমন হবে তা নির্দিষ্ট করে কিছু না জানালেও অল্প সময়ের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে বলেন আমিরাতের এই মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, গোল্ডেন, গ্রিন এবং পর্যটন ভিসা একই প্যাকেজের আওতায়। আর ফ্রিল্যান্স গ্রিন ভিসার অংশ। প্রতিটিরই বিভিন্ন ক্যাটাগরি থাকবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে’।

এর আগে, ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার ১০ বছর মেয়াদী গোল্ডেন ভিসা চালু করে। সেই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং দক্ষ কর্মীদের টানতে উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে আমিরাত এই ভিসা চালু করেছিল। দেশটির আর্থ ও সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতেই নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে আরব আমিরাত সরকার।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত