আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে ফিরেছি: জাহাঙ্গীর আলম

| আপডেট :  ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৭  | প্রকাশিত :  ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৭


আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে ফিরেছি: জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর প্রতিনিধি


গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার মা ৭০ বছরের বৃদ্ধা। দুর্বৃত্তরা কয়েক ঘণ্টাব্যাপী তার রুমসহ বাড়ির সব কিছু তছনছ করেছে, আগুন দিয়েছে। তাকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশকে উদ্ধার করতে হলো কেন? এ নারী কার কি ক্ষতি করেছে?

৩ আগস্ট, শনিবার দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম তার গাজীপুর মহানগরীর হারিকেন এলাকার বাসভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, আলেম ওলামা, নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুর্বৃত্তরা জুয়েলকে হত্যা করেছে। তদন্তের মাধ্যমে যেন এর সঠিক বিচার হয়। দেশ তথা গাজীপুরের মানুষ দেখুক কারা অপরাধী? কারা মুখোশ পড়ে মানুষের সম্পদ ও প্রাণ কেড়ে নিতে চেয়েছিল? মেয়রের সন্তান হিসেবে আমি এর বিচার চাই।

নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জুয়েলের বাবার চোখের পানি, আর্তনাদ- আর কারো যেনো দেখতে না হয়। অনেক রক্তপাত, আনেক সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। আর যেন না হয়। আলোচনার মাধ্যমে চলমান সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হওয়া ব্যাপারে তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক এই মেয়র বলেন, হত্যার উদ্দেশে উত্তরায় আমার ওপর হামলা করা হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে এবং সকলের দোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আমি বেঁচে ফিরেছি। আমি মায়ের কোলে ফিরে এসেছি। তার বাসভবনে হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং গাজীপুরবাসী সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেয়ায় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল ৮টায় চিকিৎসা শেষে জাহাঙ্গীর আলম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে গাজীপুরের চান্দরা এলাকার নিহত তার দেহরক্ষী যুবলীগ নেতা হামিদুল ইসলাম জুয়েল মোল্লার বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করেন। তিনি জুয়েল মোল্লার বাবাসহ স্বজনদের সাথে কথা বলেন এবং খোঁজখবর নেন। পরে সেখান থেকে বাসায় ফিরে তার মা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় ছেলেকে জড়িয়ে ধরে তার মা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই বিকেলে জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার সমাবেশে যাওয়ার পথে উত্তরায় হামলার শিকার হন। দুর্বৃত্তদের হামলায় জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গী যুবলীগ নেতা হামিদুল ইসলাম মোল্লা জুয়েল নিহত এবং জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজন কাউন্সিলর আহত হয়। এসময় বহরের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকলে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ২০ জুলাই রাতে বিএনপি-জামাতের দুর্বৃত্তা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং আগুন দেয়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার মা মেয়র জায়েদা খাতুনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেয়।

বিবার্তা/রোমেল/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত