ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

| আপডেট :  ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৪  | প্রকাশিত :  ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৪


ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ইন্টার্ন ভাতা ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। অবশেষ তাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। তাদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বর্তমানে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেয়া হয়। তা থেকে ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে চিকিৎসকদের ভাতা ২০ হাজার করা হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সচিবালয় অংশে সাধারণ থোক বরাদ্দ খাতে বরাদ্দকৃত ৯৬ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার টাকার অব্যয়িত অর্থ থেকে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় সর্বশেষ ইন্টার্ন চিকিৎসকের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ জনের মাসিক ভাতা ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকায় উন্নীতকরণ করা হলো। ফলে অতিরিক্ত ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হলো।

চিঠিতে আরো বলা হয়, এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম উদঘাটিত হলে সংশ্লিষ্ট বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। এ অর্থ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা পরিশোধ ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যয় করা যাবে না। এ অর্থ চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সংশ্লিষ্ট খাতে প্রতিফলন করতে হবে।

গত ১ এপ্রিল থেকে এ বর্ণিত হার কার্যকর হবে এবং এ ভারিখের আগের বকেয়া ভাতা ইতোপূর্বে নির্ধারিত হারে প্রাপ্য হবেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সার্বিক দিক বিবেচনায় ৪ দফা দাবিতে যৌথ আন্দোলন করছিলেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের দাবির মধ্যে ছিল ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা।

এছাড়া পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা দিতে হবে। ১২টি প্রাইভেট ইনস্টিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পাশাপাশি পুনর্বহাল করতে হবে। পাশাপাশি চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত