ইবিতে ভাঙচুর ও র‍্যাগিংয়ের দায়ে ছয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার

| আপডেট :  ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৩  | প্রকাশিত :  ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৩


ইবিতে ভাঙচুর ও র‍্যাগিংয়ের দায়ে ছয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার

শিক্ষা

ইবি প্রতিনিধি


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) এর চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের দায়ে একজন স্থায়ী ও র‍্যাগিংয়ের দায়ে পাঁচ শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক ৬টি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙখলা কমিটির ১২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপন সূত্রে, চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালানোর দায়ে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেদোয়ান সিদ্দিকি কাব্যকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন এক শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিংয়ের দায়ে পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন, একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব। তাদেরকে প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুর, কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, সালমান আজিজ ও আতিক আরমানের বিরুদ্ধে। পরে চিকিৎসা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত রেদোয়ান সিদ্দিকি কাব্যের জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যতা মেলে। তবে তার সাথে থাকা একই বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান আজিজ ও আতিক আরমান সরাসরি যুক্ত না থাকায় তাদেরকে শুধু সতর্ক করে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমানকে র‍্যাগিং ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। পরে এ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা উঠে আসে। পরে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার কেন করা হবে না এ মর্মে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করে। এর প্রেক্ষিতে প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টারে জন্য বহিষ্কার করা হয় তাদের।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, র‍্যাগিংয়ের সাথে জড়িতদের কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। মহামান্য হাইকোর্ট থেকেও এ নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান এ ধরনের ঘটনায় জড়িত হয়ে যাতে তারা মূল্যবান জীবন নষ্ট না করে এবং বাবা মায়ের স্বপ্ন ভঙ্গ না করে।

বিবার্তা/জায়িম/রোমেল/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত