ইবিতে ভিসির অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়ে মতানৈক্য

| আপডেট :  ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৮  | প্রকাশিত :  ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৮


ইবিতে ভিসির অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়ে মতানৈক্য

শিক্ষা

ইবি প্রতিনিধি


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যসহ শীর্ষ তিন পদে শূন্যতার ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এ সংকট নিরসনে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রজ্ঞাপন দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনের ভাষ্য নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে নিয়মিত ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিল, ক্ষেত্রমতে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দিয়ে সাময়িকভাবে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে পরামর্শ প্রদান করা হলো।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলর দায়িত্ব পালন করবে নাকি কোন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক দায়িত্ব নিবেন এ বিষয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. একেএম মতিনুর রহমান বলেন, প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন কাউন্সিল/কমিটি থাকলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব ডিনস কমিটি পালন করবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিনস কাউন্সিল নেই সেখানে কোন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক এ দায়িত্ব পালন করবেন। এ বিষয়ে আগামীকাল ডিনস কমিটির মিটিং আছে, আমরা সেখানে সিদ্ধান্ত নিবো।

এদিকে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, আগামীকাল ডিনস কমিটির মিটিং রয়েছে। এখানে ডিনদের আলোচনার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে কোন ডিনকে দায়িত্ব প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, প্রজ্ঞাপনের ভাষাগত দিকগুলো আমরা ক্রিটিকালি চিন্তা না করে সমাধানের দিকে আলোচনা করা দরকার। ডিন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক হেড। ডিনস কমিটির মিটিংয়ে সকল ডিনদের মতামতের ভিত্তিতে কোন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দায়িত্ব পালনের জন্য পরামর্শ দেয়ার বিষয়ে হয়তো আলোচনা হবে ডিনস কমিটির মিটিংয়ে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহীনুর ইসলাম বলেন, এখানে ডিন কাউন্সিল একটি সভা আহ্বান করবে। এখানে আলোচনাক্রমে ডিনদের মধ্যে একজন অথবা এর বাইরের কোন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দায়িত্ব দিবেন যিনি জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়গুলো দেখাশোনা করবে।

এদিকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

বিবার্তা/জায়িম/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত