ইলেকশন তো এই সরকারের অধীনে হবে না: কাদের

| আপডেট :  ২৮ জুন ২০২২, ০৭:৫৩  | প্রকাশিত :  ২৮ জুন ২০২২, ০৭:৫৩

বিএনপির মতো একটা বড় দল বাইরে থাকবে—এটা আওয়ামী লীগ চায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি—আমার বিশ্বাস যে বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। আমরাও চাই একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ইলেকশন। সে কারণে বিএনপির মতো একটা বড় দল বাইরে থাকবে, এটা আমরা চাই না। আমরা চাই তারা আসুক।’

মঙ্গলবার (২৮ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইভিএম বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) অনেক কথাই বলে, শেষ পর্যন্ত আসল কথায় চলে আসে। আমি একটা কথা বলি—নির্বাচন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ এটা বিএনপির অধিকার। এটা একটা সুযোগ নয় যে সরকার বিতরণ করবে। এটা হচ্ছে বিএনপির অধিকার। দল হিসেবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনে তারা আসবে। আমরা এটাই বিশ্বাস করি।’

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা বলেই যাচ্ছি। আমরা পদ্মা সেতুতেও দাওয়াত দিয়েছি। দেখেন, আমাদের একটা পজিটিভ অ্যাটিটিউড আছে। সে কারণে আমরা তাই করি। তারা (বিএনপি) নিজেরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে। হয়তো শেষ বেলায়, ঘোলা করে খাবে আর কী।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘দেখেন, একটা কথা সবাই বলে, সরকারের অধীনে। আমি অবাক হয়ে শুনি ফখরুল সাহেব বলেন—‘এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না।’ ইলেকশন তো এই সরকারের অধীনে হবে না। ইলেকশন হবে ইলেকশন কমিশনের অধীনে। সরকার একটা কর্তৃত্বপূর্ণ স্বাধীন ভূমিকা ফর ক্রেডিবল, ফেয়ার অ্যান্ড ফ্রি ইলেকশন। যে যে সহযোগিতা, ফ্যাসিলিটিজ দরকার, সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস আমরা আগেও দিয়েছি। এখনও আমরা নির্বাচন কমিশনকে আশ্বাস দিয়েছি। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটি তার সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তিনি হয়তো প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে করে থাকেন। এটা হয়তো নিয়ম। যা আমার কোনও এখতিয়ার নেই।’’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো রাজনৈতিক সংলাপে ডাকছে— বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আমরা আসবো। আর এ ব্যাপারে আমাদের স্ট্যান্ড ক্লিয়ার অ্যান্ড লাউডার, আমরা গতবার যেটা বলেছি। একই দাবি আমরা পুনরাবৃত্তি করছি। এই প্রস্তাবগুলো আমরা চাই যে এই প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করুক এবং ইভিএমের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার এবং স্পষ্ট। মন থেকে চাই, চেতনা থেকে চাই। ৩০০ আসনে ইভিএম হলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা সাপোর্ট করি।’

কাদের বলেন, ‘আজকে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখানে আসছে, আমার মনে হয়—অধিকাংশই ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। আজকে অনেক দল এসেছে। আমরা সবার কথা শুনেছি। ইভিএম নিয়ে বিরুদ্ধেও বলেছেন দুয়েকজন। এটা তো গণতন্ত্র। বিউটি অব ডেমোক্র্যাসি। বিরুদ্ধে তো বলবেনই। ভিন্নমত থাকতেই পারে। সেটাতে তো কোনও অসুবিধা নেই।’

৩০০ আসনে নির্বাচন করতে কি ইসি সক্ষম? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দ্যাট ইজ দ্য ডিসিশন অব ইলেকশন কমিশন। এটা তাদের এখতিয়ার।’

আপনারা কি সব আসনে ইভিএম চান? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই। আমরা যখন দেখেছি, একটা ইউনিয়নের ইলেকশনে রাজশাহীর একটা ইউনিয়ন, একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটা ইউনিয়ন, সেখানে দিনের আলোও ঠিকমতো যায় না—ঠিক এ রকম একটা জায়গা। তো ইভিএমে ইলেকশন হয়েছে। অংশগ্রহণ ছিল বিশ্বাসযোগ্য। প্রচুর উপস্থিতি এবং মহিলারা পর্যন্ত লম্বা লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছে। কাজেই ইভিএম অজনপ্রিয়—এ কথা বলার আর এখন কোনও প্রয়োজন নেই।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হয়, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকার সেটাই অনুসরণ করবে। দেখুন, নির্বাচন ব্যবস্থায় আইনের মাধ্যমে কমিশন গঠন হয়। এখানে একটা পজিটিভ চেঞ্জ হয়েছে। এটা আমরা আরও উন্নত করতে চাই, এই নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে। এটা আমরা ইঙ্গিত করে গেলাম। আমরা আরও উন্নত করতে চাই।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত