ইসলামপুরে যমুনার বামতীরে অবৈধ বালুর ব্যবসাসহ মাটি উত্তোলনের মহোৎসব

| আপডেট :  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০২  | প্রকাশিত :  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০২


ইসলামপুরে যমুনার বামতীরে অবৈধ বালুর ব্যবসাসহ মাটি উত্তোলনের মহোৎসব

সারাদেশ

জামালপুর প্রতিনিধি


জামালপুরের ইসলামপুর যমুনার বামতীরে মোরাদাবাদ ঘাটে অবৈধ বালুর ব্যবসাসহ উপজেলার শতাধিক স্পটে অবৈধ মাটি ও বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।

জানা গেছে, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

কিন্তু  এসব আইনের যথাযথ কোনো প্রয়োগ নেই ইসলামপুর উপজেলায়। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর চাপে প্রশাসন মাঝে মধ্যে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধ দায়সারাভাবে জরিমানা করে ব্যবস্থা নিলেও আবারও রহস্যজনক কারণে কয়েকদিন পরই অবৈধভাবে বালু ও মাটি তুলা শুরু হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগে খুঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসলামপুর যমুনার বামতীরে মোরাদাবাদ ঘাটে একটি বালুদস্যু সিন্ডিকেট প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বামতীর বাঁধ কেটে ড্রেজারের পাইপ ঢুকিয়ে যমুনা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বাঁধের পাশে বালুর পিরামিড করে জমা করে বিক্রি করছে।

মাঝে মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এইসব অবৈধ বালু মহলে অভিযান করে জরিমানা করলেও পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে আবারও বালু উত্তোলন করে বালু দস্যুরা।

একইভাবে উলিয়া পাইলিং ঘাটের পাশে জেগে উঠা যমুনার চর থেকেও চলছে বালু উত্তোলন।

অন্যদিকে উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের বালুঘাট ব্রিজের নিচে নবুকুড়া ,খলিশাকুড়ি খালে সরকারি খাস জমি গভীর খনন করে মাটি বিক্রি চলছে।

এছাড়া চরগোয়ালীনি ইউনিয়নের হরিণধরা বাজারের সামনে দশআনী নদে বসেছে ড্রেজারে মেলা। অবৈধ ড্রেজারে নদের তীর খনন করে চলছে বালু মাটি বিক্রি।

এছাড়াও পলবান্ধা ইউনিয়নের  সিরাজাবাদ পাকামাথা ও ফকিরপাড়া পাইলিং ব্রিজের নিচ থেকে চলছে দীর্ঘদিন ধরে বালুমাটি উত্তোলন। এভাবেই উপজেলার প্রায় শতাধিক স্পটে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ মাটি ও বালি উত্তোলনের মহোৎসব চললেও নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।

এব্যপারে ইসলামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.শাহনূর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে খুঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম।

বিবার্তা/ওসমান/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত