ঈশ্বরদীতে এক মাসে ৮ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

| আপডেট :  ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫২  | প্রকাশিত :  ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫২


ঈশ্বরদীতে এক মাসে ৮ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

সারাদেশ

পাবনা প্রতিনিধি


পাবনার ঈশ্বরদীতে গত এক মাসে হত্যা, আত্মহত্যা, নদীতে ডুবে ও সাপের কামড়ে মৃত্যুসহ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

গত ২ জুন (রবিবার) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইপিজেড এলাকায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে রিনা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ খুন হন। এদিন সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঈশ্বরদী-পাকশী আঞ্চলিক সড়কের পাকশী ইপিজেড মোড়ের সামনে পাকা রাস্তায় ওপরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাষণ্ড স্বামী মিলন মিয়াঁকে আটক করেছে পুলিশ।

এছাড়া মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে নিখোঁজের সাতদিন পর গত ২৩ জুন (রবিবার) ঈশ্বরদী শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে তপু হোসেন (১৭) নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২২ জুন সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের পেছনে মশুরিয়াপাড়ার অরণ্য ছাত্রাবাসের তিনতলার ৩০৫নং কক্ষে তপুর মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। নিহত তপু ঐ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

এর আগে ৮ জুন (শনিবার) রাত ৩টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার হাসপাতাল রোডে অবস্থিত জমজম স্পেশালাইজ হাসপাতালে ডাক্তারের আবহেলায় জিমু খাতুন (১৯) নামের এক মায়ের সন্তান প্রসবকালে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ করেন স্বজনেরা।

জিমু খাতুন লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার সাইদুর রহমানের স্ত্রী। এই বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জিমুর স্বামী সাইদুর রহমান।

অপর একটি ঘটনায় গত ১৬ জুন (রবিবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোরবানির গরু বাড়িতে আনতে গিয়ে পদ্মা নদীতে ডুবে আবু হোসেন সরদার কালু (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। উপজেলার আরামবাড়িয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু হোসেন উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।

গত ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত (১৭) এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এদিন সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরদী শহরের লোকোমোটিভ ডিজেল কারখানার সামনে খুলনাগামী আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গত ৩১ মে কলাবাগানে কাজ করার সময় বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে হাফিজুর রহমান (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এদিন নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। হাফিজুর রহমান উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা গ্রামের আফসার হোসেন খানের ছেলে।

এছাড়া গত ৩১ মে সুমনা খাতুন (১৯) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিন উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমনা খাতুন মহাদেবপুর গ্রামের মো. সম্রাট হোসেনের স্ত্রী ও পৌর শহরের ইস্তা এলাকার সুজন হোসেনের মেয়ে।

বিবার্তা/পলাশ/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত