উদ্বোধনের আগেই হুমকির মুখে সেতু

| আপডেট :  ২০ আগস্ট ২০২১, ০৬:২২  | প্রকাশিত :  ২০ আগস্ট ২০২১, ০৬:২২

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের রামডাকুয়া গ্রামে তিস্তা শাখা নদীর ওপর নির্মিত সেতু উদ্বোধনের আগেই সংযোগ সড়ক ধসে পড়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টার বৃষ্টির পানির তোড়ে সেতু সংলগ্ন পূর্বপাশে সড়ক ধসে যায়। উপজেলা প্রকৌশলীর দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে রামডাকুয়া সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেন কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ঢাকাস্থ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরকৌশল প্রযুক্তি লিমিটেড। পিসি গার্ডার সেতুর দুই পাশে ৫০ মিটার করে সংযোগ সড়ক। মূল সেতু ৯৬ মিটার। যার নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বেলকা, হরিপুর, তারাপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের লোকজনসহ প্রতিদিন দূর-দূরান্তের অসংখ্য লোক যাতায়াতের মাধ্যম তিস্তার এই শাখা নদী দিয়ে। দীর্ঘদিন থেকে সেতু না থাকায় কখনো নৌকা, বাঁশের সাঁকো, কলা গাছের ভেলা, আবার কখনো কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি ছিল এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা। অবশেষ ২০১৯ সালে শুরু হয় সেতু নির্মাণ কাজ। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হতেই সেতুর পূর্বপাশের ৫০ মিটার অংশে সেতু সংলগ্ন সংযোগ সড়ক ধসে যায়। কাজে নয়-ছয় হয়েছে মনে করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, সেতু নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজে ব্যাপক অনিয়ম ছিল। কয়েকজন বলেন আমরা অভিযোগও করেছিলাম। কিন্তু ঠিকাদার এবং এলজিইডি অফিসের লোকজন আমাদের কথায় গুরুত্ব দেননি। রামডাকুয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সামাদ মিয়া জানান, গত রোববার বিকেলে প্রায় দুই ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতে সেতুর সংযোগ সড়কের কিছু অংশ ধসে যায়। এবছর এখনো বর্ষা শুরু হয়নি এ এলাকায়। তাতেই সেতুর সংযোগ সড়কের এ অবস্থা। আমাদের চরবাসীর ভোগান্তি দূর হচ্ছে না। এ ভোগান্তি ২০ গ্রামের মানুষের।

বেলকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজি জানান, শুরু থেকেই তারা অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন সেতু নির্মাণে। আমরা এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগও করেছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। মনগড়া কাজ করেছেন ঠিকাদার ও এলজিইডি অফিসের লোকজন। সে কারণে আজ সেতুর এ অবস্থা। সেতু নির্মাণে তদারকির দায়িত্বে থাকা নকশাকার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মইনুলল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে এটি হয়েছে। ঠিকাদারের সঙ্গে কথাও হয়েছে আমার। দু’একদিনের মধ্যে মেরামত করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, এখানে কাজ করা অনেক জটিল ছিল। সংযোগ সড়ক থেকে স্লোপ যে পরিমাণ লম্বা থাকার কথা ছিল সেটা করতে পারিনি আমরা। জমির মালিকরা জায়গা দেয়নি আমাদের। আর সে কারণেই এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত