উপবৃত্তি সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা, যা তথ্য এন্ট্রি দিতে সহায়ক হবে

| আপডেট :  ২৬ মে ২০২২, ১০:৪২  | প্রকাশিত :  ২৬ মে ২০২২, ১০:৪২

উপবৃত্তি সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা, যা তথ্য এন্ট্রি দিতে সহায়ক হবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ন্যূনতম বয়স ৪ বছর হতে হবে এবং প্রতিমাসে পাঠদিবসের ৮৫% উপস্থিতি থাকতে হবে।

১ম থেকে ৩য় শ্রেণিতে প্রতিমাসে পাঠদিবসের ৮৫% উপস্থিতি থাকতে হবে। ৪র্থ থেকে ৮ম শ্রেণিতে প্রতিমাসে পাঠদিবসের ৮৫% উপস্থিতি থাকতে হবে এবং বার্ষিক পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে ন্যূনতম ৪০% নম্বর পেতে হবে। তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বেলায় প্রতি বিষয়ে ন্যূনতম ৩৩% নম্বর প্রাপ্তির শর্ত প্রযোজ্য হবে। নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ছাড়পত্রে শিক্ষার্থীর নম্বর প্রাপ্তির বিষয়টি উল্লেখ থাকতে হবে।

* পোর্টালে প্রথমে শুধুমাত্র ২০২১ সালের শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি দিতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনানুযায়ী ২০২২ সালের শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি দিতে হবে।

* প্রথমে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি সম্পন্ন করতে হবে। তারপর নির্দেশনানুযায়ী ডিমান্ড সিট প্রস্তুত করতে হবে।
* একজন অভিভাবক সর্বোচ্চ ২ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা পাবেন।

* ‌পোর্টালে যেখানে ইংরেজিতে এন্ট্রি দিতে হবে সেই নির্দেশনা ব্যতিত অন্যান্য সকল তথ্যই বাংলায় Nikoshban ফন্টে এন্ট্রি দিতে হবে।
* একজন করে শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করে সংরক্ষণ করতে হবে।

* শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল/অনলাইন হতে হবে।
* শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন ইংরেজিতে না থাকলে আপাতত ইচ্ছামতো এন্ট্রি দেওয়া যাবে। তবে পরবর্তীতে তা বাধ্যতামূলক।

* শিক্ষার্থীর নাম বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাবেই এন্ট্রি দিতে হবে।
* মা, বাবা ও বৈধ অভিভাবকের বাংলা ও ইংরেজি নাম অটোমেটিক পূরণ হবে। এক্ষেত্রে NID নম্বর ও জন্ম তারিখ ইনপুট করত হবে।

* ‌১৩ সংখ্যার NID হলে আগে জন্ম সাল লিখে এন্ট্রি দিতে হবে।

* মোবাইল নম্বর অবশ্যই সুবিধাভোগীর NID দ্বারা নিবন্ধিত হতে হবে। এক্ষেত্রে মা, বাবা কিংবা বৈধ অভিভাবক হতে হবে। তবে মা জীবিত থাকাকালীন অন্য কেউ সুবিধাভোগী হতে পারবে না। অন্য কেউ হলে সুবিধাভোগী পরিবর্তনের কারণ উল্লেখ করতে হবে।

* মা-বাবা উভয়ের NID কার্ড থাকতে হবে। তবে মৃত্যুজনিত, বিবাহ বিচ্ছেদ বা অন্য কারণ থাকলে সেক্ষেত্রে একজনের তথ্য প্রযোজ্য হবে।

* মা ও বাবা উভয়ের যদি NID কার্ড না থাকে তবে সেই শিক্ষার্থীর এন্ট্রি অপেক্ষমান তালিকায় থাকবে। পরবর্তীতে অফিস চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।

* ‌বিগত বছরের কোনো শিক্ষার্থী যদি স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায় বা কোনো কারণে যদি যোগাযোগ করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে মন্তব্যের কলামে কারণ উল্লেখ করতে হবে।

* মা-বাবা উভয়ের মোবাইল নম্বর এন্ট্রি দিতে হবে। যদি উভয়ের না থাকে তবে একটি দিলেই হবে।
* প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মোট ভাই-বোনের সংখ্যা উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে অত্র বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত, অন্য বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বা অধ্যয়নরত নয় এমন উভয় তথ্যই প্রযোজ্য হবে।

* ‌একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে একাধিক ডিভাইসে শ্রেণিওয়ারি কাজ করার সুযোগ থাকবে।

* একাধিক ডিভাইস ও ব্রাউজারের মাধ্যমে উপবৃত্তির তথ্য এন্ট্রি দেয়া যায়। যেমন — একটা ল্যাপটপ দিয়ে একসাথে গুগল এবং মজিলা ফায়ারফক্স এই দুইটাতেই ডাটা এন্ট্রি করুন। গুগলে ১জনের NID সার্ভার সার্চ দিয়ে মজিলাতে আরেক তথ্য এন্ট্রি করুন। ফলে একসাথে ২জন শিক্ষার্থীর তথ্য একসাথে যেমন এন্ট্রি করা যায় তেমনি NID সার্চ দিয়ে অপেক্ষা করে বিরক্তিকরভাবে সময় অপচয় না করে সময়ের সঠিক ব্যবহার করা যায়।

* ভুল করো কোনো তথ্য সংরক্ষণ হয়ে গেলে Edit করার সুযোগ থাকবে। উপবৃত্তির পোর্টালে কাজ করতে যেয়ে অনেকেই একটি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাহলো ভুল তথ্য পূরণ করে সংরক্ষণের পর পুনরায় এডিট করা। আর এডিট করার জন্য সরাসরি কোনো এডিট অপশন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রথমে বামপাশে ড্যাশবোর্ডের নিচে “শিক্ষার্থীর তথ্য আপডেট” অপশনে ক্লিক করুন। এরপর সংরক্ষণ করা শিক্ষার্থীর ডানপাশে কলম আইকনে ক্লিক করুন। এবার ভুল তথ্য এডিট করুন।

* পোর্টালের স্বাভাবিক ধারা চলমান রাখার জন্য ১ম ধাপের কাজ চলাকালীন ২য় ও ৩য় ধাপের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ইনএকটিভ থাকবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে চলবে।

* টাকা প্রাপ্তির জন্য অভিভাবকগণ তাদের পছন্দানুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিং Account ব্যবহার করতে পারবে। যেমন নগদ, রকেট, বিকাশ, সহজ, উপায়, শিওরক্যাশ, এমক্যাশ ইত্যাদি।

* ‌EFT ও IPEMIS সিস্টেমে ব্যবহৃত প্রধান শিক্ষকের মোবাইল নম্বর হলো ইউজার আইডি।

* স্ব-স্ব উপজেলা থেকে ডিফল্ট পাসওয়ার্ড সময়মত জানিয়ে দেয়া হবে (যদিও আমরা অনেকেই ডিফল্ট পাসওয়ার্ড জানি, তবে ফেসবুকে এটা শেয়ার করা উচিত হবে না)।

* PESP MIS পোর্টালে উপবৃত্তির কাজ করতে যেয়ে দেখা যায় সার্ভার স্লো। তবে এই সমস্যার পাশাপাশি আরো কিছু সমস্যাও থাকতে পারে। সেজন্য আপনার ল্যাপটপ/কম্পিউটারের Run History ক্লিয়ার করুন, যে ব্রাউজারের মাধ্যমে কাজটি করা হচ্ছে সেটি আপডেট করুন ও ব্যাবহৃত ব্রাউজারের Cache History ক্লিয়ার করুন। ল্যাপটপ/ কম্পিউটারে উপবৃত্তির কাজ শুরু করার পূর্বে উপরিউক্ত বিষয়গুলি আগে চেক করুন। তাহলে হয়তো আপনার কাজের গতি কিছুটা হলেও বাড়তে পারে। আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি না যে, অবশ্যই গতি বাড়বে। তবে চেষ্টা করতে তো আর দোষ নেই।

* অনুমোদনের পূর্বে এন্ট্রিকৃত তথ্য ডাউনলোড করার অপশন এখনো যুক্ত হয়নি। তবে উপবৃত্তির পোর্টালে মোবাইল বা ল্যাপটপে একজন করে শিক্ষার্থীর তথ্য ডাউনলোড/সেভ করা ও প্রিন্ট দেওয়া যাবে।

* উপবৃত্তির তালিকা উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক অনলাইনে অনুমোদন হওয়ার পর PESP MIS পোর্টাল থেকে pdf ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোডকৃত তালিকা প্রিন্ট করে সীল মোহরযুক্ত স্বাক্ষরপূর্বক ০১ (এক) কপি নিজ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে এবং ০১ (এক) কপি উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে।

* ‌২০২২ সালের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় রিপিটার হলে উপবৃত্তি প্রাপ্ত হবে না।

বিঃ_দ্রঃ — সিস্টেম প্রতিনিয়ত আপডেট হবে। তাই কোনো সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। ভুল হলে সংশোধনী দিবেন।

সম্পাদনায়: উজ্জ্বল প্রধান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত