একই পরিবারের ৬ প্রাথমিক শিক্ষকের সফলতার গোপন রহস্য

| আপডেট :  ০৭ অক্টোবর ২০২১, ০২:০৪  | প্রকাশিত :  ০৭ অক্টোবর ২০২১, ০২:০৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন এক পরিবারের ছয় আপন বোন। শিক্ষকতার প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা এ পেশাকে বেছে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

ঐ পরিবারের ছয় শিক্ষক বোন হলেন, মৌসুমী আক্তার, নার্গিস আক্তার,নাহিদা ইয়াসমিন, দিলরোবা আক্তার, শাম্মি আক্তার, মাহজাবিন মোস্তফা। এই আদর্শ শিক্ষক পরিবার বসবাস করেন শহরের বড়বাজার বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন শ্যামনগর গ্রামে। তারা ওই গ্রামের মৃত এটিএম মোস্তফার মেয়ে। তার বাবা আখাউড়া উপজেলা স্বস্থ্যকমপ্লেক্সে চাকরি করতেন। মা একজন গৃহিণী।

এটিএম মোস্তফার ৮ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে ৬ জনই শিক্ষক। এরমধ্যে তার ৬ মেয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলেও বর্তমানে এক মেয়ে দীর্ঘ বছর শিক্ষকতা করার পর শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন। এক মেয়ে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। তাছাড়া ১ ছেলে এএলবিতে অধ্যয়নরত।

পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায়, মৌসুমী আক্তার মাষ্টার্স (গণিত) পাস কারার পর ২০০০ সালে সরাসরি উপজেলার আনোয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান। এরআগে তিনি প্রায় ৩ বছর নাছরিন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বর্তমানে তিনি পৌর শহরের তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে ভালো অবদান রাখায় চীনের বেইজিং এ ৭ দিনের সরকারি সফরে গিয়ে শিক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

নাছরিন আক্তার (বি,এস,সি) পাস করার পর ১৯৯৯ সালে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন।

সাহিদা ইয়াসমিন (বিএ ) পাস করার পর ২০০৩ সনে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রানীখার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি রামধননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছেন।

দিলরুবা আক্তার (বিএ,অনার্স, এমএ) ইংরেজি বিভাগ মাষ্টার্স পাস শেষে ২০০৩ সনে তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তার চাকুরি হয়। ২০১০সনে তিনি প্রধান শিক্ষক হয়। এরপর তিনি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে প্রবাসে চলে যায়।

সাম্মী আক্তার (বিএসসি অনার্স এমএসসি) রসায়ন বিভাগ মাষ্টার্স পাস করার পর ২০১০ সনে কুমিল্লা সদরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে যোগ দেন।

মাহজাবিন মোস্তফ (বিএ) পাস করার পর ২০১৭ সালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার চাকরি হয়।

নাজনিন আক্তার (বিএসএস অনার্স) পাস করার পর উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরি করছেন। তানজিনা মোস্তফা ব্যাংকে চাকুরি করতেন । সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। যারা চাকুরি করছেন তারা সবাই যার যার অবস্থান থেকে স্বামী সংসার ছেলে মেয়ে নিয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত