এক চার্জে ফোন চলবে ৫০ বছর

| আপডেট :  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৬  | প্রকাশিত :  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৬


এক চার্জে ফোন চলবে ৫০ বছর

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিবার্তা ডেস্ক


পয়সার থেকেও ছোট আকারের নিউক্লিয়ার বা পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারি তৈরি করেছে চীনের বেটাভোল্ট টেকনোলজি। ছোট এই ব্যাটারি মুঠোফোনে ব্যবহার করা যাবে। বেজিংয়ের এই সংস্থা দাবি করেছে, তারা নিউক্লিয়ার ব্যাটারি আবিষ্কার করেছে। এই ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার কোনো ঝক্কি নেই। তারা একটি মাইক্রোচিপ তৈরি করেছে। সেটি অনেকটা এক টাকার কয়েনের মতো দেখতে। এই ব্যাটারি একবার চার্জ দিলে চলবে ৫০ বছর।

নতুন এই প্রযুক্তি চার্জার অথবা বহনযোগ্য পাওয়ার ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা পুরোপুরি দূর করে ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। লিথিয়াম ব্যাটারির মতো এর কোনো ক্ষয়ও হয় না।

৫ মিলিমিটার পুরু এই ব্যাটারি। ৩ ভোল্টের। ১০০ মাইক্রোওয়াট শক্তি উৎপন্ন করতে পারবে এই ব্যাটারি। তবে তাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে ১-ওয়াট পাওয়ার আউটপুটে পৌঁছানো। সংস্থার দাবি, বিশ্বের প্রথম ব্যাটারি এটি যাতে পারমানবিক শক্তি থাকবে খুব ক্ষুদ্র পরিসরে।

এটি ১৫ x ১৫ x ৫ মিলিমিটার পরিমাপ করে এবং ফিউচারিজম অনুসারে পারমাণবিক আইসোটোপ এবং ডায়মন্ড সেমিকন্ডাক্টরের ওয়েফার-পাতলা স্তর দিয়ে তৈরি। বেটাভোল্ট বলেন, বিকিরণ মানবদেহের জন্য কোনো বিপদ সৃষ্টি করে না, এটি পেসমেকারের মতো চিকিৎসা ডিভাইসে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।

চিকিৎসা বিজ্ঞান, মহাকাশ চর্চা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ড্রোন এবং রোবটেও এই ব্যাটারি পরবর্তী সময়ে ব্যবহার করা যাবে বলে দাবি করেছে ওই চিনা সংস্থা।

যদিও গত শতক থেকেই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা মহাকাশযান, পানির নিচের সিস্টেম এবং দূরবর্তী বৈজ্ঞানিক স্টেশনগুলোতে ব্যবহারের জন্য একই ধরনের প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আসছে। কিন্ত তাদের থার্মোনিউক্লিয়ার ব্যাটারি প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। পাশাপাশি এগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও ভারী।

বেটাভোল্টের ব্যাটারি তুলনামূলকভাবে অনেক সস্তা ও ছোট আকারের। এগুলো সেরকম কোনো তাপ উৎপন্ন করে না। এছাড়া, বেটাভোল্টের ব্যাটারি আকারে ছোট হওয়ার কারণে অনেকগুলো ব্যাটারি একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। যা আরও বেশি শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করবে।

এই ব্যাটারি তৈরির জন্য বিজ্ঞানীরা শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করেছেন তেজস্ক্রিয় উপকরণ নিকেল-৬৩। শক্তি রূপান্তরের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে হীরার সেমিকন্ডাক্টর। সেমিকন্ডাক্টরটি মাত্র ১০ মাইক্রন পুরু এবং নিকেল-৬৩ এর শীটটি কেবল ২ মাইক্রন-পুরু। তেজস্ক্রিয় নিকেল-৬৩ ক্ষয় হতে থাকলে সেই শক্তি বৈদ্যুতিক প্রবাহে রূপান্তরিত হয়।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত