এভাবেই প্রতিদিন ব্রিজটি পার হতে হয়

| আপডেট :  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:৫৪  | প্রকাশিত :  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:৫৪

ব্রিজটি নির্মাণের দীর্ঘ ৮ বছর অতিবাহিত হলেও নির্মিত হয়নি কোন সংযোগ সড়ক। সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগ যেন কারোর চোখেই পড়ছে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়ন ও মিজান মুন্সীর বাড়ির সামনে দিয়ে মাইনী নদীর উপর নির্মিত হয় সড়কবিহীন এই সেতু। ব্রিজটির এক পাশে আটারকছড়া ইউনিয়ন অপর পাশে মিজান মুন্সির বাড়ি। এখানে বসবাস করের প্রায় ৬০-৭০টি পরিবার। সেতুর সড়ক না থাকায় নৌকায় চড়ে মই বেয়ে ব্রিজ পার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় তাদের চলাচলে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তেমনি স্থানীয় উৎপাদিত কৃষি পণ্য পারাপারেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে মই দিয়ে যাতায়াত করা গেলেও ভারী বর্ষা মৌসুমে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

আটারকছড়া ইউনিয়নের স্থানীয় অধিবাসী মিজান মুন্সী জানান, মই দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেক গ্রামবাসী মই থেকে পড়ে আহত হয়েছেন। মই দিয়ে সেতু পার হওয়া নারী শিশু ও বয়স্কদের জন্য খুবই ঝুকিঁপূর্ণ। অতিসত্বর সেতুর দুই পাশে মাটি দিয়ে সংযোগ সড়ক তৈরি করলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর কুদ্দুস রব বলেন, সেতুটির ওপারে প্রায় তিন থেকে চারশ মানুষের বসবাস। এই মানুষগুলোর যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে এই ব্রিজ ।

লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা বলেন, ব্রিজটি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ব্রিজটি নির্মাণে অনেক টাকা খরচ হলেও প্রকৃত পক্ষে এলাকার জনগণকে ভোগান্তিই পোহাতে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, যে সমস্ত কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি,আগামী অর্থ বছরে সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো, যাতে করে এলাকার জনগণ উপকৃত হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত