এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে উত্তাল প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গন

| আপডেট :  ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:১০  | প্রকাশিত :  ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:১০

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট’। সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে মহাজোট থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে সারাদেশ থেকে আসা তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত আছেন। অতি দ্রুত এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানান তারা।

শিক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।

সংগঠনটি থেকে আরও জানানো হয়, অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, পাঁচশ’ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা দেওয়া হয় না। অবসরে গেলেও যথাসময়ে এ টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই।

মহাজোটের সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। স্বল্প খরচে সব নাগরিক মানসম্মত শিক্ষা পাবে, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমবে, প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে থাকা অর্থের অপচয় রোধ হবে। বিনিময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা চাকরির নিশ্চয়তা পাবেন।’

প্রধানমন্ত্রী জাতীয়করণের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যহত থাকবে বলে শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান।

অবস্থান কর্মসূচিতে আছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের আহ্বায়ক মো. মাঈন উদ্দিন। মহাজোটের শিক্ষক নেতাদের মধ্যে আছেন মো. শাহ্ আলম, তালুকদার আব্দুল মন্নাফ, মো. আফজলুর রশিদ, অধ্যক্ষ আফজল হোসেন, বেনী মাধব দেবনাথ প্রমুখ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত