কবরস্থানে জায়গা না পাওয়ায় ঘরের বারান্দায় মায়ের দাফন
কবর দেওয়ার জায়গা না পেয়ে ঘরের বারান্দায় মায়ের দাফন করেছেন সন্তানেরা। এমন ঘটনা ঘটেছে দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ৫ জুলাই, শুক্রবার ওই কবরস্থান পাকা করা হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কবর দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে রফিজলের বাড়িতে ভিড় করছেন মানুষ। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ঝড় ওঠে। গত মঙ্গলবার বিকালে বার্ধ্যকজনিত কারণে মারা যান জাবেদা খাতুন (৮৫)। মায়ের লাশ নিয়ে মেয়ে জরিনা বেগম ঘরে অবস্থান করলেও খোঁজ নিতে আসেননি একই বাড়িতে থাকা চাচা খোরশেদ আলম ও চাচাতো ভাইয়েরা। তারা জানিয়ে দেন তাদের মালিকানাধীন কবরস্থানে যেন কবর দেওয়া না হয়। ভেলা জেলার দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আজিমউদ্দিন গ্রামের সরদারবাড়িতে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা দেখতে-শুনতে ছুটে আসেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। স্থানীয়রা বলেন , বার্ধক্যজনিত কারণে জাবেদা খাতুন মারা যান। বিরোধিতার মুখে পারিবারিক কবরস্থানে স্থান হয়নি জাবেদা খাতুনের। ঢাকা থেকে ছুটে আসেন ছেলেরা। একদিন অপেক্ষার পর নিজ ঘরের ভিটার বারান্দার বেড়া খুলে কবর দেওয়া হয় জাবেদা খাতুনকে। তবে চাচাতো ভাই রফিক জানান, কবরের জমির জন্য কেউ আসেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্য রঞ্জন বলেন, জবেদা খাতুন নামে এক বৃদ্ধার কবর ঘরের মেঝেতে দেওয়া হয়েছে শুনে আজ বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । অনেকেই কবরটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলছেন, যদি তার ছেলে ও পরিবার মনে করে কবরটি সরিয়ে নেওয়া হোক তাহলে নেবেন, আর যদি না চান এখানেই থাকবে। বিবার্তা/এম আই/এসবি
কবরস্থানে জায়গা না পাওয়ায় ঘরের বারান্দায় মায়ের দাফন
সারাদেশ
ভোলা প্রতিনিধি
রফিজল ও আজিজল বলেন, আমরা ঢাকায় রিকশা চালাই। বাড়িতে বৃদ্ধ মা ও বোন ছিল। বাড়ির জমি নিয়ে চাচা খোরশেদ আলম ও চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম রফিকের সঙ্গে বিরোধ চলছে। বাবার মৃত্যুর পর পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করেছিলাম। ওই কবরস্থান এখন চাচাদের। এ নিয়ে প্রায় কটূক্তি করতেন তারা। জীবিত থাকতে মা বলে যান, তাকে যেন বিরোধপূর্ণ জমিতে দাফন করা না হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত