কর্ণফুলীর শাহ আমানত সেতু: ১ বছরে স্বয়ংক্রিয় টোল আদায় ৮৪ লাখ

| আপডেট :  ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫১  | প্রকাশিত :  ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫১


কর্ণফুলীর শাহ আমানত সেতু: ১ বছরে স্বয়ংক্রিয় টোল আদায় ৮৪ লাখ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি


চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত তৃতীয় সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম-ইটিসিএস পদ্ধতিতে গত ১ বছরে ৬ বুথে স্বয়ংক্রিয় ই-টোল আদায় হয়েছে ৮৪ লাখ ১৩ হাজার ২৯০ টাকা। আর যানবাহন পারাপার হয়েছে ৮৮ হাজার ৮৪৫ টি।

২৪ এপ্রিল, বুধবার দুপুরে টোল প্লাজার ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কোম্পানি ইউডিসি-ভ্যান জেভি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন ঘোষ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

 তিনি বলেন, ২০২৩ সালের পহেলা মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারির তথ্য এটি।

ইউডিসি-ভ্যান জেভি’র অপারেশন ডাইরেক্টর অপূর্ব সাহা বলেন, ‘জটলা নিরসন ও সড়ক সেতুতে যানবাহন চলাচল স্মুথ করতে ই-টোল কার্যক্রম চালু করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)।

এতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ই-টোল সেবা গ্রহণকারীরা ১০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। অর্থাৎ কোথাও যদি ১০০ টাকা টোল থাকে তবে গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে ৯০ টাকা।’

সেতু কর্তৃপক্ষের সূত্রে আরো জানা যায়, ইটিসিএস সিস্টেমের বুথগুলোর ক্যামেরায় গাড়ির নম্বর আসতেই সেগুলো বিআরটিএর সার্ভারে যুক্ত থাকায় স্ক্রিনে নির্ধারিত টোলের পরিমাণ দেখা যাবে। এরপর আরএফআইডি ও ক্যাশ এই দুই পদ্ধতিতেই শাহ আমানত সেতুর টোল পরিশোধ হচ্ছে।

এর মধ্যে সেতুর বুথে শুধুমাত্র রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফআইডি পদ্ধতিতে চলন্ত অবস্থায় টোল আদায়ের সুযোগ রাখা হয়েছে।

এই পদ্ধতির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি টোল প্লাজার সামনে আসতেই স্ক্যানারে গাড়িটি শনাক্ত হবে। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত টোল কেটে ব্যারিয়ার উঠে যায় এবং স্ক্রিনে ব্যালেন্স দেখা যায়।

সেতুর টোলপ্লাজায় অন্য বুথে টাচ অ্যান্ড গো পদ্ধতি তৈরি করা রাখা হলেও ইনএক্টিভ বলে জানা যায়। তবে শিগগিরই এ পদ্ধতিতে টোল পরিশোধের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আর ৩ থেকে ৬ নম্বর এই চারটি বুথে টাচ আরএফআইডি এবং ক্যাশ পদ্ধতি চালু রয়েছে।

এসব বুথে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন করা কার্ডে ব্যালেন্স থাকলে ক্যাশলেস টোল দেওয়া যাচ্ছে। এ জন্য বুথগুলোর পাশে গাড়ির উচ্চতা বিবেচনা করে কার্ড ব্যবহারের জন্য মেশিন রাখা হয়েছে।

একই সঙ্গে বুথগুলোয় কেউ চাইলে ক্যাশ বা নগদেও টোল পরিশোধ করতে পারবেন। শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় এ রকম ব্যবস্থা রয়েছে। পাশে মোটর সাইকেলের জন্য আগের মত ফ্রি ম্যানুয়ালি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যদিও টোল তালিকায় মোটরসাইকেলের উপর ফি ধার্য লেখা রয়েছে।

এদিকে সেতুর যান চলাচল পর্যবেক্ষণে পাশের সার্ভার রুম চালু রয়েছে সার্বক্ষণিক সেতু মনিটরিং সেন্টার। যেখানে বসে প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন ঘোষ টোলপ্লাজার সমস্ত কিছু নজর রাখেন। দেখেন সিসিটিভিতে কোথায় কি হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন সেবায় বদ্ধ পরিকর বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কোম্পানি ইউডিসি-ভ্যান জেভি।

প্রসঙ্গত, দেশের ৯টি সেতু ও দুইটি মহাসড়কে বাধ্যতামূলকভাবে ইলেকট্রনিক টোল ব্যবস্থা (ইটিসি বা ই-টোল) চালু রেখেছে সরকার। ই-টোল বাধ্যতামূলক করায় ৫ সেকেন্ডে যেকোন গাড়ি সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করছে।

সওজ বলছে ই-টোলে ‘নেক্সাস পে’, ‘রকেট’ ও ‘উপায়’ অ্যাপের মাধ্যমে ই-টোল দেওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এবং ই-পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমেও ই-টোলের সুবিধা পাওয়া যাবে।

ইউডিসি-ভ্যান জেভি’র অপারেশন ডাইরেক্টর অপূর্ব সাহা বলেন, ‘ই-টোলে রেজিস্ট্রেশন করা যেকোনো যানবাহন টোল প্লাজার সামনে এলেই রোবটিক ক্যামেরার মাধ্যমে যানবাহন শনাক্ত করে অটোমেটিক টোল আদায় করা হবে। এতে সময় লাগবে ৩-৫ সেকেন্ড।’

বিবার্তা/জাহেদ/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত