কালো টাকা জেনেবুঝে ভোগ করেছেন জ্যাকলিন, দাবি ইডির

| আপডেট :  ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৭  | প্রকাশিত :  ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৭


কালো টাকা জেনেবুঝে ভোগ করেছেন জ্যাকলিন, দাবি ইডির

বিনোদন ডেস্ক


কথায় আছে ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস আর অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’। তেমনটাই হয়েছে বলিউড তারকা জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের সঙ্গে। ২১৫ কোটি রুপি আত্মসাতের মামলায় ঘনিষ্ঠজন ‘কন-ম্যান’ সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তার নাম উঠেছে আগেই। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্ক ও তার থেকে টাকাপয়সার নেয়ার অভিযোগে এমনিতেই বিপাকে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। এবার ২০০ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলাতেও জড়াল তার নাম।

তবে শুরু থেকেই নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করে এসেছেন জ্যাকলিন। কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। এ তারকা সজ্ঞানে সুকেশের থেকে কালো টাকা ভোগ করেছেন। সম্প্রতি আদালতের কাছে এমন দাবি তুলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে নিজেকে নির্দেশ করা জ্যাকলিন এক্ষেত্রে কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি।
 
ইডির দাবি, জেরার সময় সত্যতা গোপন করেছেন জ্যাকলিন। অভিনেত্রী বারবার জানিয়েছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর নাকি তাকে ফাঁসিয়েছে। তবে কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি। ইডির তদন্তে আসা তথ্য অনুযায়ী, জ্যাকলিন জেনে বুঝেই সুকেশের অপরাধের টাকা ব্যবহার করেছেন। এমনকি, সুকেশ গ্রেফতার হওয়ার পর জ্যাকুলিন নিজের ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলেছিলেন।

আদালতে পেশ করা হলফনামায় ইডি আরও জানিয়েছে যে, অভিনেত্রী সুকেশের থেকে ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার শুধু উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, যা তার ভাই ও বোনের, সেখানেও ১,৭, ২৯১৩ মার্কিন ডলার ২৬, ৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিল।

প্রসঙ্গত, বরাবরই কনম্যান সুকেশের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে আসছেন অভিনেত্রী। তার দাবি, ভুয়া পরিচয়ে তার সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিল এই প্রতারক। তবে অভিনেত্রী দাবি মানতে নারাজ ইডি। তার নামে চলছে মামলা, দায়ের হয়েছে এফআইআর। এমনলি, লুকআউট নোটিসও জারি রয়েছে। অর্থাৎ, দেশ ছাড়ার অনুমতিও নেই শ্রীলঙ্কান মডেলের।

অন্য দিকে, এখনও জেলে বসে বসেই নায়িকাকে একের পর এক প্রেমপত্র লিখে চলেছেন অভিযুক্ত কনম্যান। সম্প্রতি সুকেশের থেকে দুরত্ব বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তা চেয়ে দিল্লি আদালতে আবেদন জানান জ্যাকলিন।

দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে নিজের আর্জির মাধ্যমে জ্যাকলিন জানান, সুকেশ নাকি তাকে বার বার চিঠি পাঠিয়ে বিরক্ত করছেন। তার দাবি, সুকেশের মতো কনম্যান বার বার চিঠি পাঠিয়ে তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। সেই কারণেই আদালতের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই-ই নয়, আর্থিক তছরুপের মামলা থেকেও রেহাই চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন জ্যাকলিন।

সুকেশের সঙ্গে বেশ দহরম মহরম ছিল এই অভিনেত্রীর। তার সঙ্গে ঘুরে বেড়াতেন, তার দেওয়া উপহার সামগ্রী নিতেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় নিতে হলো অপরাধের দায়ভার। অনেকদিন ধরেই ছিলেন প্রশাসনের সন্দেহের তালিকায়।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত