কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা উঠানামা করলেও কমেনি শীতের তীব্রতা

| আপডেট :  ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৯  | প্রকাশিত :  ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৯


কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা উঠানামা করলেও কমেনি শীতের তীব্রতা

সারাদেশ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি


টানা শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। এর প্রভাব পড়েছে জেলার কৃষি ক্ষেত্রেও। তাপমাত্রা উঠানামা করলেও কমেনি শীতের দাপট। কনকনে ঠান্ডার জবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন।

১৭ জানুয়ারি, বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীতে কাতর মানুষগুলো। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহ পালিত পশু পাখিরাও। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ- ঠান্ডাজনিত রোগ।  

গত ১ সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৫৭জন শিশু। দিন ও রাতের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

অপরদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় হলুদ ও সাদা বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো আবাদের বীজতলা। কৃষকরা জানান, বোরো মৌসুম শুরু হলেও একদিকে কনকনে ঠান্ডায় জমিতে রোপণ করতে পারছেন না ধানের চারা। অন্যদিকে হিমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বীজতলা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের কৃষক আবু মিয়া বলেন, আজ নিয়ে ৭দিন হইলো সূর্যের কোন খবর নাই। ঠান্ডা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বোরো ধানের বীজতলা করেছি, এখনো বীজতলার কোনো সমস্যা হয়নি। এমন ঠান্ডা আরও ২-৩ দিন থাকলে মনে হয় বীজতলার ক্ষতি হতে পারে।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, বোরো আবাদের জন্য জেলায় এ বছর সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে রোপণ করা হয়েছে ১২ হেক্টর জমি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৩-৪ দিন পরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিবার্তা/বিপ্লব/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত