কুবিতে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২ কমিটি গঠন

| আপডেট :  ০৮ মে ২০২৪, ০২:০৮  | প্রকাশিত :  ০৮ মে ২০২৪, ০২:০৮


কুবিতে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২ কমিটি গঠন

শিক্ষা

কুবি প্রতিনিধি


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির হাতাহাতির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তে ৩০ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ৯৩ তম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়াও প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মূল কারণ সাত দফা দাবিসমূহের যৌক্তিকতা পর্যালোচনা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী সাক্ষরিত দুটি পৃথক অফিস আদেশর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।

উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির হাতাহাতির ঘটনায় আহবায়ক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ছাড়াও সদস্য হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ডিন ও কুবির সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোঃ হেলাল উদ্দিন নিজামী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (বিশ্ববিদ্যালয়) অতিরিক্ত সচিব জনাব খালেদা আক্তার এবং সচিব হিসেবে রয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী।

এদিকে সাত দফা পর্যালোচনার কমিটিতে আহবায়ক অধ্যাপক ড. আবু তাহের ছাড়াও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূইয়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের। ছাড়াও কমিটিতে সচিব হিসেবে রয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী।

কমিটি গঠনে অসন্তুষ্টি জানিয়ে কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু আবু তাহের বলেন, কমিটিটা প্রশাসন করেছে যেহেতু, সেটা তাদের মতো করেই করেছে। যেখানে উপাচার্যের সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব, সেখানে উপাচার্য তার নিজের মতো করে করেছেন। আমরা যতটুকু জানি, দুইটা কমিটিতেই শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি রাখার ছিল, কিন্তু এখানে একটাতে(৭ফা দাবি পর্যালোচনা) রাখা হলেও অন্যটাতে(উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির হাতাহাতি) রাখা হয়নি।

এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল ধরেন নি।

এর আগে, সাত দফা দাবি আদায়ে শিক্ষক সমিতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিলো। শেষ পর্যন্ত এই দ্বন্দ্ব গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির হাতাহাতিতে পৌছায়। এই ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় অভিযোগও দায়ের করে। পরবর্তীতে চলমান এই সংকট নিরসনে ৩০ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্ঠকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং আবাসিক হলসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বিবার্তা/প্রসেনজিত/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত