কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিমেল বাতাসে ব্যাহত জীবনজাপন

| আপডেট :  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৫  | প্রকাশিত :  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৫


কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিমেল বাতাসে ব্যাহত জীবনজাপন

সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি


একদিকে ঘন কুয়াশা আর অন্যদিকে উত্তরের হুঁহুঁ করে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন। সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থেমে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাত থেকে শুরু হওয়া মাঝারি থেকে গাঢ় কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চুয়াডাঙ্গার শহর থেকে গ্রাম।

তীব্র  ঠান্ডায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেও। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে। জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করে কাজে সন্ধানে বের হয়েছেন শ্রমজীবীরা।

শীতল বাতাস আর কুয়াশায় সর্দি-কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির প্রকোপ বেড়েছে জেলায়।

জেলায় সরকারি ভাবে এ বছর সাড়ে ১৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এছাড়া হাতেগোনা কয়েকটি বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

দিনমজুর আবুল মিয়া বলেন, কুয়াশা আর হিম ঠান্ডা বাতাসের সাথে পেরে ওঠা যাচ্ছে না। মাঠে কাজ করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু কিছুই করার নেই। সংসার তো আর শীতের বাধা মানে না।

রিকশাচালক জব্বার হোসেন বলেন, দুই তিন দিন শীত কম ছিল কিন্তু আজ ভোর থেকে আবার কুয়াশার সাথে বাতাস বইছে। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তায় মানুষও কম ভাড়াও কম হচ্ছে।

শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।

আর সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটারে নেমে এসেছে।

জেলার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার আধিক্য কেটে যাবে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকবে। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিবার্তা/আসিম/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত