কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ

| আপডেট :  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৪২  | প্রকাশিত :  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৪২


কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ

শিক্ষা

কুবি প্রতিনিধি


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান এবং পরিবেশনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের অভিযোগ। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন না।

ক্যাফেতে বাসি এবং নষ্ট খাবার পরিবেশনের অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে ক্যাফেটেরিয়াই শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু খাবারের মান না থাকায় এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করায় প্রয়োজনে ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্ব পরিবর্তন চায় শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, খাবার পরিবেশন করার সময় ব্যবহৃত থালা-বাসন না ধুয়ে একই কাপড় দিয়ে বারবার মুছে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। এছাড়া, খাবার পানির জন্য নেই স্বচ্ছ ফিল্টারিং। যেগুলো আছে, সেগুলোও পুরাতন-অকেজো। পাশাপাশি ক্যাফেটেরিয়াতে থাকা হাত ধোঁয়ার বেসিনের কলও ঠিক নেই এবং একটি ওয়াশরুমও ব্যবহারযোগ্য নয়।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জয় ঘোষ বলেন, ‘ক্যাফের খাবারের পরিবেশ ভালো না। একটা প্লেট না ধুয়ে বারবার ব্যবহার করে। আগেরদিন খাবার গরম করে পরেরদিন বিক্রি করে। অনেক সময় বাসি ও টক খাবার পরিবেশন করা হয়। প্রশাসনের উচিত এদিকে নজরদারি করা। প্রয়োজনে দায়িত্ব পরিবর্তন করে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া।’  

এ বিষয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সোহেল মিয়া বলেন, ‘পরিবেশটাও ভালো না। একটা ন্যাকড়া (কাপড়) দিয়ে প্লেট মুছে খাবার দিয়ে দিতেছে। আগে মোটামুটি খাবার ভালো ছিল। এখন খাবারটাও স্বাস্থ্য সম্মত না। এই যে পরোটার সাথে ডাল-সবজি দিয়েছে, এটা ভালো না। বাইরের খাবারের দাম একটু বেশি। বাধ্য হয়ে খাইতে হচ্ছে।’

হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মো: মাহিনুর রহমান নাঈম বলেন, ‘প্রথমত ক্যাফেটেরিয়া পরিষ্কার থাকে না। মনে হয় এগুলো দেখারই কেউ নাই। তদারকি করার জন্য যদি কেউ প্রকৃত অর্থে দায়িত্ব নিত তাহলে বিষয়টা ঠিক হয়ে যেত। আর দাম অনুসারে খাবার আরো ভালো হওয়ার কথা। কারণ, ভার্সিটির ক্যাফেটেরিয়া শুধু মুনাফার জন্য চালানো হয় না। প্রয়োজনে যারা এখন এটা চালাচ্ছে তাদের পরিবর্তন করে নতুন করে কাউকে পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া উচিত।’

অপরিচ্ছন্নতা এবং খাবারের মান এবং ক্যাফেটেরিয়ার অভিযোগ নিয়ে মান্নু মজুমদার বলেন, ‘প্লেট মোছার কাজে ব্যবহৃত কাপড় গুলো ব্যবহার করে প্রতিদিন রাতে পরিষ্কার করি। শিক্ষার্থীদের সকলদিক চিন্তা করেই আমাদের খাবার তৈরি হয়। তাদের অভিযোগ থাকলে অবশ্যই সেটা দেখা হবে। আমরা তো রান্না সকালে হলে সেটা রাত ৮-৯ টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। আমরা খাবারের সর্বোচ্চ মানোন্নয়ন নিশ্চিত রাখতে সচেতন। এখন যদি তাদের (শিক্ষার্থীদের) অভিযোগ থাকে কোনো বিষয়ে তাহলে আপনারা আমাকে পরামর্শ দেন। যেভাবে করলে ভালো হবে, সেভাবেই করবো। এতে আমার কোন সমস্যা নেই।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘খাবারের মান উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের আদলে ক্যাফেটেরিয়ার সিস্টেম করা হবে। যেখানে খাবারের বিভিন্ন কর্নার থাকবে। মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন স্যারের সাথে এ ব্যাপারে প্রাথমিক কথা হয়েছে।’

বিবার্তা/প্রসেনজিত/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত