খানসামায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়ছে ভুট্টা চাষ, বেশী লাভে খুশি চাষীরা

| আপডেট :  ০৯ মে ২০২৪, ০১:১৯  | প্রকাশিত :  ০৯ মে ২০২৪, ০১:১৯


খানসামায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়ছে ভুট্টা চাষ, বেশী লাভে খুশি চাষীরা

সারাদেশ

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি


দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেড়েছে ভুট্টা চাষ। এবার শীতের প্রকোপ, বৃষ্টিপাত ও রৌদ্রের প্রখরতা তেমন না থাকায় ভুট্টার ফলনও হয়েছে বেশ ভাল। ফলে ভুট্টা চাষে কম খরচ ও বেশী লাভ হওয়ায় চাষিরাও বেশ খুশি।

ভুট্টা চাষে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দানা বড় ও পরিপক্ব হওয়ায় বেড়েছে ওজনও। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চারিদিকে মাঠজুড়ে বিস্তীর্ণ ভুট্টার ক্ষেত। সেসব ক্ষেত থেকে ভুট্টা উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। রোদের পর্যাপ্ত তাপ দিতে কিছু কিছু  জায়গায় ছেঁটে ফেলা হয়েছে গাছের আগা ও পাতা। জনপ্রিয় এই ফসলটি ঘরে তুলে মাড়াই করে বাজারজাত করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চলতি উপজেলায় ভুট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮২৮৫ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে ৮৪৯০ হেক্টর। এ বছর উপজেলায় হাইব্রিড ভুট্টার আবাদ হয়েছে ১৮৩০ হেক্টর এবং পপকর্ন উৎপাদন হয়েছে ১৬৬০ হেক্টর।

কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বিঘা প্রতি ভুট্টার ফলন পাচ্ছেন ৬৫ থেকে ৮০ মণ। এসব ভুট্টা কাঁচা অবস্থায় ৮০০-১০০০ পর্যন্ত দামে বিক্রি করছেন তারা। আর শুকনা অবস্থায় ১১০০-১২০০ টাকা মণ বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন চাষীরা। অন্যদিকে প্রতি বিঘা পপকর্ন চাষে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে ৪০-৪৫ মণ পপকর্ন উৎপাদন করছেন চাষীরা।

প্রতিমণ পপকর্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৫০০ টাকায়।
উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, এবার এক বিঘা জমিতে পাইওনিয়ার-৩৩৫৫ জাতের ভুট্টা চাষ করে ৭০ মণ ফলন হয়েছে। চাষ ও মজুরি বাবদ সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা। সেই ভুট্টা বিক্রি করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পপকর্ন চাষি নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রতি মৌসুমে পপকর্ন চাষ করে ভালো টাকা লাভ হয়। এবারও দুই বিঘা জমিতে পপকর্ণ লাগিয়েছি। ফলনও ভালো হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাবিবা আক্তার বলেন, ভুট্টা
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টার রোগবালাই কম এবং উৎপাদন ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ভুট্টা আবাদের দিকে বেশি ঝুঁকছেন বলে জানান তিনি।

বিবার্তা/জামান/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত