গণতন্ত্রের সীমাটাও সীমিত করে ফেলা হয়েছে: ভিপি নুর

| আপডেট :  ২৮ জুন ২০২২, ০৯:০২  | প্রকাশিত :  ২৮ জুন ২০২২, ০৯:০২

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচায়ক বলে মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, একই সঙ্গে গত ১৩ বছরে সরকার যে বর্বর ও অমানবিক কাজ করেছে সেগুলোর জন্য তাদের নিন্দা সারা জীবন পেতে হবে।

তিনি বলেন, ৩ হাজার মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা, ৬০০ মানুষকে গুম করা, লাখ লাখ মানুষকে মামলার আসামি করা, ধর্মীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করাসহ শত শত অপরাধ ও পাপ করে তা একটা পদ্মা সেতু দিয়ে মোচন হবে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে বীর উত্তর মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘একজন নাগরিকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ বাজেটের তদবির ও গতানুগতিকতা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সভায় মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান রাশেদ আল তিতুমীর। আরও বক্তৃতা করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।

বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘সবকিছুর বিকল্প দেখানো হচ্ছে। যেমন বেগুনের দাম বেড়েছে, তাই কুমড়া কেনার কথা বলা হয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু একবার যদি বলি, এই সরকার ঠিকভাবে কাজ করছে না। তার বিকল্প নিয়ে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহ হবে। গণতন্ত্রের সীমাটাও সীমিত করে ফেলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, “আমার অধীন থেকে গণতন্ত্র করতে হবে।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গত ১৩ বছরে বিনিয়োগ বাড়ছে সরকারি খাতে। বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ঘটেছে কি সমানতালে? দেখা যাচ্ছে সমানতালে হচ্ছে না। ফলে একটা প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে না। কারণ, এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নীতি নেই।

সাকির অভিযোগ, সরকার বড় বড় প্রকল্প দেখাচ্ছে কিন্তু জনগণের জীবনমানের উন্নতি ঘটল কিনা, সে বিষয়ে ন্যূনতম চিন্তা তাদের নেই।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত