গরমে যেসব চর্মরোগ বাড়ে
বাড়তে শুরু করেছে গরম। আর গরম পড়তেই ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায়। এই সময় ত্বকের বেশ কিছু চর্মরোগের সমস্যা দেখা দেয় যেমন- ঘামাচি, ব্রণ, একজিমা ইত্যাদি। তাই এ সময় সাবধান থাকা জরুরি। এছাড়া গরমে ছত্রাকজনিত চর্মরোগ বেশি হতে দেখা যায়। ঘাম ও ভেজা শরীর ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযোগী। যারা এয়ারকুলার ব্যবহার করেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন, তাদের এ রোগটি সাধারণত হয় না। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরমে কোন কোন চর্মরোগ ও ছত্রাকজনিত রোগ বাড়ে, ঘামাচি ব্রণ একজিমা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সান এলার্জি-সানবার্ন ত্বকের ক্যানসার ছত্রাকজনিত চর্মরোগ প্রধানত তিনটি- দাউদ, ছুলি ও ক্যানডিডিয়াসিস। এ ছত্রাক প্রজাতির সবই ত্বকের বাইরের অংশকে আক্রমণ করে। দাউদ ছুলি ক্যানডিডিয়াসিস চিকিৎসা বিবার্তা/এমজে
গরমে যেসব চর্মরোগ বাড়ে
লাইফস্টাইল
বিবার্তা ডেস্ক
গরমে ঘামাচির সমস্যা বাড়ে। এমনিতে সবারই ঘামাচি হতে পারে। তবে সবার সামনে এটি অস্বস্তিদায়কই বটে।
ব্রণের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তবে গরমে এই সমস্যা বাড়ে। কারণ ঘাম ও ধুলো মিলেমিশে ত্বকের ছিদ্রে জমতে থাকে।
তাপমাত্রার পারদ যত বাড়তে থাকে, ততই একজিমার সমস্যা বেড়ে যায়। একজিমা এই সময় নতুন করে বাড়তে পারে।
গরমে ডিহাইড্রেশন বেশি হয়। তাই যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের ত্বক আরও শুকিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এজন্য এ সময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
অনেকেরই এই সমস্যা রয়েছে। গ্রীষ্মের সূর্যের তাপে তা আরও বেড়ে যায়। আবার সানবার্ন হলে ত্বকে ট্য়ান পড়ে। এক্ষেত্রে ত্বকের খোলা অংশ কালচে হয়ে পড়ে। তাই রেদে যাওয়ার আগে সান স্ক্রিন ব্যবহার করা মাস্ট।
শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্যি। কারণ ক্রান্তীয় অঞ্চলে রোদের তীব্রতা অনেকটাই। যে কারণে অবিরত গায়ে রোদ লাগলে স্কিন ক্যানসারের ভয় আছে।
ত্বকে গোলাকার চাকার মতো দাগ হচ্ছে দাউদ। মধ্যখানের চামড়া স্বাভাবিক গোল দাগের পরিধিতে ছোট ছোট গোটা দেখা যায়, চুলকালে সেখান থেকে কষ ঝরতে থাকে। মাথা, হাত-পা ও নখে এ দাউদ হতে পারে।
ত্বকে হালকা বাদামি বা সাদা গোলাকৃতির দাগ দেখা যায়। এতে ত্বক সাদা দেখা যায় বলে অনেকেই শ্বেতী ভাবেন।
শিশু, বৃদ্ধ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা যারা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড ওষুধ খাচ্ছেন, যাদের ত্বকের ভাঁজে পানিতে বা ঘামে ভেজা থাকে তাদের এ রোগটি বেশি হয়। যারা সবসময় পানি নাড়াচাড়া করেন, তাদের আঙুলের ফাঁকে হাতের ভাঁজে, শিশুর জিহ্বায়, মহিলাদের যৌনপথে ও গর্ভবতীরা এতে বেশি আক্রান্ত হন।
এটি নির্ভর করে আক্রমণের স্থান ও তীব্রতার ওপর। এ ধরনের চর্মরোগ অনেক ক্ষেত্রে রেসিস্ট্যান্স হয়ে যায় বলে নতুন ধরনের এন্টি ফাদাল ট্যাবলেট ও মলম ব্যবহার করতে হয়। রোগ থেকে আরোগ্য সম্ভব, তবে দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ খেতে হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত