গাছ-ফুলের তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি নিয়ে শঙ্কা

| আপডেট :  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১২  | প্রকাশিত :  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১২


গাছ-ফুলের তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি নিয়ে শঙ্কা

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি


দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সাবেক গুলিয়াড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ ও ফুলের তৈরি নান্দনিক শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে সকলের প্রশংসিত হয়েছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুল কুদ্দুস। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন সকলেই।

তবে নিজ উদ্যোগে তৈরি এই বাগানটি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে কিনা এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঐ শিক্ষক। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে আমি নিজ উদ্যোগে এই বাগানটির কার্যক্রম শুরু করি। পরবর্তীতে করোনাকালীন সময়ে নিজের অবসর সময় কাজে লাগিয়ে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা খরচ করে এই নান্দনিক বাগান তৈরী করি। বর্তমানে আমার একার পক্ষে আর এই বাগান পরিচর্যার অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য এটি ধরে রাখতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন। সহায়তা পেলে এই বাগানের কাজ প্রসারিত করা যাবে বলে আমি মনে করি।।

২১ ফেব্রুয়ারি, বুধবার দুপুরবেলা সরেজমিনে ঐ স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, গ্রিলে ঘেরা সুসজ্জিত ও নান্দনিক ফুল বাগানের এক কোণে কাঁটা মেহেদী ও গাঁদা ফুল দিয়ে তৈরী শহীদ মিনার আর শহীদ মিনার পাদদেশে গাঁদা ফুল দিয়ে ২১ লেখা হয়েছে। এই শহীদ মিনারেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এই বাগান ও শহীদ মিনারের মূল কারিগর ঐ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস আরও বলেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারও নান্দনিক ফুল বাগানের এই শহীদ মিনারটি সাজানো হয়েছে। শহীদ মিনারের সাথে গাছ দিয়ে তৈরী বিভিন্ন স্তম্ভ ও প্রতীকের কারণে বাগানের প্রতি শিক্ষার্থীদের সাথে দর্শনার্থীরাও অনেক বেশি আকৃষ্ট। এটিই আমার বড় প্রাপ্তি।

ব্যতিক্রমী এই শহীদ মিনার দেখতে আসা চয়ন রায় নামের এক দর্শনার্থী বলেন, এই বাগানটি দেখতে বন্ধুরা মিলে এসেছি। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।

ভাবকী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন বলেন, এটি অবশ্যই ভালো একটি উদ্যোগ। সকল প্রতিষ্ঠানেই যদি এরকম নান্দনিক বাগান করা যায় তাহলে শিক্ষার্থীরাও সৃজনশীল কিছু শিখতে পারবে।  

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদুল হক বলেন, সাবেক গুলিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও বাগান অন্য স্কুলগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তাজউদ্দিন বলেন, এরকম ব্যতিক্রমী উদ্যোগ কে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এটি টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে।

বিবার্তা/জামান/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত