গাজা যুদ্ধের ১০০দিনে প্রাণ হারাল ২৩৮৪৩ ফিলিস্তিনি

| আপডেট :  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০  | প্রকাশিত :  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০


গাজা যুদ্ধের ১০০দিনে প্রাণ হারাল ২৩৮৪৩ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত ভেঙে ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। তার প্রতিশোধ নিয়ে একই দিন গাজায় আকাশ পথে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী, পরে স্থল অভিযানে নামে দখলদার বাহিনীর হাজার হাজার সৈন্য। শুরু হয় ইসরায়েল বাহিনীর বর্বরতা। তাদের হামলা-নির্যাতনের ১০০দিনে আজ (রবিবার) পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৩৮৪৩ ফিলিস্তিনি।

টানা ছয় সপ্তাহ সংঘর্ষের পর ২৪ নভেম্বর সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। প্রথমে ৪ দিন বিরতি দিয়ে বন্দী বিনিময় চুক্তি হলেও পরে তা দুই দফায় আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়। সাময়িক বিরতির সময় ইসরায়েল থেকে জিম্মি হওয়া বন্দিদের মধ্য থেকে বেশকিছু জিম্মি মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েল কারাগার মুক্ত হয় মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের তিনগুণ ফিলিস্তিনি। পরে যুদ্ধবিরতি শেষে ফের ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া দখলদার বাহিনীর হামলায় ১০০ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ হাজার ৮৪৩ জন ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। আর এসময় আহত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩১৭ জন। পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। ধারণা করা হয়, তারা বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন।

এদিন গাজার রাফাহ কুয়েতি হাসপাতালের চিকিৎসক সুহাইব আল-হামস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ১০০ দিন কীভাবে কেটে গেল? গাজাবাসি এই সময়গুলো তিক্ততার সঙ্গে, শহীদদের সঙ্গে, আহতদের নিয়ে সময় পার করেছে। তারা বেদনা, নিষ্ঠুরতা এবং দুঃখের দৃশ্য নিয়ে পার করেছে।’ তার কথায়, ‘শুধু বাড়িঘরই নয় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলেরও ধ্বংস প্রত্যক্ষ করেছি। ইসরায়েলের বোমা হামলার করেছে হাসপাতাল, রাস্তা, মেডিকেল দল বা এম্বুলেন্স সবকিছুর ওপর। তারা কোনো কিছু বাদ দেয়নি।

এদিকে যুদ্ধের ১০০ তম দিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের অভিযান কেউ বন্ধ করতে পারবে না’। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, যে গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে বিজয় অর্জন থেকে কেউ বাধা দিতে পারবে না। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের যা করা প্রয়োজন, তা করবো।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত