গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ হচ্ছে: জবিশিস

| আপডেট :  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:১২  | প্রকাশিত :  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:১২


গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ হচ্ছে: জবিশিস

জবি প্রতিনিধি


গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস)।
অদক্ষ ও অযোগ্য পরিচালনার জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় না থাকার প্রস্তাবসহ গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির সংকীর্ণতা কাটাতে আরো ১০ দফা দাবি জানান জবিশিস নেতৃবৃন্দ।

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কাটাতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু হলেও বর্তমান সেটা ভোগান্তি বৃদ্ধি করেছে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটসহ শিক্ষার্থী ভোগান্তিতে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এছাড়াও দক্ষ শিক্ষার্থী বাছাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমস্যার হচ্ছে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা ও দাবি জানান শিক্ষক সমিতির নেতারা।

এসময় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় থাকতে ১০ দফা দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি। এগুলো হলো-
১/ আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এনটিএ গঠনের মাধ্যমে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একক ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির সব প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে ক্লাস শুরু করতে হবে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত স্কোর ও মেধাক্রম প্রকাশ, ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা ও মাইগ্রেশনের জটিলতা নিরসন, আর্থিক স্বচ্ছতার জন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি নিরীক্ষা টিম গঠন করে গত তিন শিক্ষাবর্ষের আয় ও ব্যয়ের নিরীক্ষা কার্য সম্পন্ন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে, দেশের সকল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা গুচ্ছ করতে হবে, শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা অনুযায়ী ভর্তি পূর্ণ করতে হবে, ভর্তির আবেদন ফি কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করতে হবে, ভর্তি আবেদন ফি ব্যতীত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন, মাইগ্রেশন, ভর্তি বাতিল বা অন্য কোনো কারণে অর্থ প্রদান করবে না তা নিশ্চিত করতে হবে, গুচ্ছভুক্ত ২২টির মধ্যে আসন সংখ্যা অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ না করে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক আবেদনের সংখ্যা অনুযায়ী অর্থ প্রদান করতে হবে, পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য এবং এর স্বচ্ছতার জন্য একটি সুস্পষ্ট আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

এছাড়া সম্মেলনে বক্তারা গত কয়েকবছরের ভর্তি পরীক্ষার অসংগতি ও শিক্ষার্থী ভোগান্তি তুলে ধরার মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে একক ভর্তি পরীক্ষার দাবি জানান। দাবিতে দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে চলতি বছরের ১ জুলাই নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুসহ ভর্তি পরীক্ষার আর্থিক স্বচ্ছতার কথা উঠে আসে।

এসময় জবিশিস সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, যারা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি তারাই পুনরায় এর দায়িত্ব পাচ্ছে। তাছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গতিকে ব্যাহত করার জন্যই একটি পক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা শর্তসাপেক্ষে গুচ্ছতে যাওয়ার পক্ষে রায় দিলেও আমাদের শর্তগুলো পূরণ হয়নি। একরকম আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে গুচ্ছতে থাকতে।

সংবাদ সম্মেলনে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বৃদ্ধির কারণগুলো কার্যকর নিরসনের পদক্ষেপ নেয়া এবং গুচ্ছ পরিচালনাকারীদের অদক্ষতার সীমাবদ্ধতাগুলো সমাধান করা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, যারা গুচ্ছ প্রক্রিয়ার মতো সরকারের এত সুন্দর একটি উদ্যোগকে ব্যর্থ করলেন তাদের হাতেই বারবার গুচ্ছ ভর্তির দায়িত্ব বর্তিয়েছে। আমরা অতীতের কার্য বিবেচনায় এবারের গুচ্ছ ভর্তির সাফল্য নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছি।

বিবার্তা/রুদ্র/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত